এই লিটন দাস, সেই লিটন দাস
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপেনিং জুটিতে টিকে থাকা এবং সুযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সে সুযোগ পেয়েও খুব একটা কাজে লাগাতে পারছিলেন না লিটন দাস। দীর্ঘদিন পর হলেও হেসেছে তাঁর ব্যাট। আজ রোববার ফ্লোরিডায় সিরিজের শেষ ম্যাচে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন এই বাংলাদেশি ওপেনার। তাঁর অসাধারণ সাফল্যে দলও জিতেছে।
অবশ্য এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খুব একটা ভালো খেলতে পারছিলেন না লিটন দাস। এক প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়া খুব একটা ভালো খেলতে দেখা যায়নি তাঁকে। গত ১৯ শে জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাইস চ্যান্সেলর একাদশের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৭০ রানের এক ইনিংস। অথচ এর আগে আফগানিস্তান সিরিজ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ- কোনো ফরম্যাটেই একটাও হাফসেঞ্চুরির দেখা পাননি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। অবশ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজের অঘোষিত ফাইনালে দিনটি নিজের করে নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের প্রথম বলকে বাউন্ডারিতে পরিণত করে রানের খাতা খোলেন লিটন। তারপর তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে চার-ছক্কার ফুলঝুরি। বাংলাদেশও এগিয়েছে তাঁর স্বাভাবিক ছন্দে। তিনটি ছক্কা ও ছটি চারের মারে ৩২ বলে ৬১ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন এই ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের জয়ে ভূমিকা রাখা এই ব্যাটসম্যান পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। দলের প্রয়োজনে যখন এ রকম একটি ভিত্তি গড়ে দেওয়া ইনিংস খেলেন কোনো অনিয়মিত ব্যাটসম্যান তখন সব ভুলে তিনিই থাকেন মধ্যমণি। কিন্তু লিটনের এ রকম জ্বলে ওঠা কি নিয়মিত থাকবে নাকি আবারও কোনো এক দিন জ্বলে উঠবেন সেটা সময়ই বলে দেবে। রানখরায় ভোগা লিটন দাসকে ভুলে যেতে চান হয়তো তিনি নিজেও।