তামিমের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ মুশফিক
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের দুই স্তম্ভ তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। দুজনেই দুজনের ব্যাটিংয়ের দারুণ ভক্ত। তামিমের খেলা মুশফিকের কাছে অসাধারণ বলে মনে হয়। অন্যদিকে সাবেক অধিনায়কের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে ব্যাটিং করাটা উপভোগ করেন তামিম। দুজনের ভাবনায় মূল সুর বাংলাদেশের জয়কে ঘিরেই।
তামিম শুরুতে যেমন সুরটা বেঁধে দেন, সেটাকে আরো প্রাঞ্জল করেন মুশফিক। গত ছয় বছরে তাঁর ব্যাটিংয়ের গ্রাফটা তরতর করে উঠেছেই শুধু। অঙ্কের হিসাবে তামিম ও মুশফিক না খেললে বাংলাদেশের স্কোর বড় হয় না। একইভাবে ম্যাচ জেতানো অনেক ইনিংস নিভৃতে খেলেছেন মুশফিক। তামিমের যেমন ওপেনিং পার্টনারের সংকট, লোয়ার ‘মিডল অর্ডারে’ তরুণদের নিজেদের অপরিহার্যতা প্রমাণ না করতে পারা, মুশফিকের চ্যালেঞ্জটাও দলকে বড় স্কোর গড়ার ক্ষেত্রে তামিমের চেয়ে কম নয়।
তামিমের ব্যাপারে মুশফিক বলেন, ‘আমরা তামিমের মতো একজন প্লেয়ার পেয়েছি, এটাই আমাদের জন্য অনেক বড় একটা আশীর্বাদ। আল্লাহর রহমতে ও যেভাবে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করছে, আমার মনে হয় তরুণ খেলোয়াড়রা ওর সঙ্গে একটা-দুইটা কথা বললেও তাঁদের অনেক সাহায্য হবে।’
আর তামিম ইকবাল ওপেনিং জুটিতে তাঁর দায়িত্ব নিয়ে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আমার সঙ্গে যাঁরা নামেন, তাঁরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অনেক সময় হয়, অনেক কিছু হয় না। আমারও অনেক সময় এ রকম হয়।’
সতীর্থ মুশফিকের ব্যাপারে তামিম বলেন, ‘ও বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের জেতা-হারার জন্য আমার মনে হয় ও অনেক বড় বিষয়। কারণ যে গতিতে সে রান করে, যে সময়ে ক্রিজে আসে, সেটা খুব সোজা নয়। যাঁরা হয়তো বা খেলা বোঝেন না, তাঁরা কখনো বুঝতে পারবেন না, যখন সে ব্যাটিং করতে আসে, সে সময়ে চাপ কত বেশি থাকে। সম্ভবত অনেক সময় প্রথম বল থেকে তাঁকে বড় শট খেলতে হয়।’
নিজের খেলার ব্যাপারে মুশফিক বলেন, ‘খেলার সময় অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থাকে। তিনটা ফরম্যাট, বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অবস্থায় নামতে হয়। সত্যি বলতে, আমি তিনটিই অনেক উপভোগ করি, যদিও তিনটিই অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে যেখানেই যাই, দলের জন্য অবদান রাখতে চেষ্টা করি।’
দেশের দুই ব্যাটিংস্তম্ভের জুটিটা মাঠ ও মাঠের বাইরেও জমাট। এশিয়া কাপ নিয়ে দুজনের চিন্তার ধারাও মিলে গেছে এক জায়গায়। শেষ চার নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশকে আগে। সেটা সম্ভব করতে হলে দুজনের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে।