‘আমি সামর্থ্য দিয়েই প্রমাণ দিতে চাই’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক অনুপ্রেরণার নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাঁর উপস্থিতি পরশ পাথরের মতো বদলে দিয়েছে বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্স। সফল এই অধিনায়ক নেতৃত্ব দিবেন এশিয়া কাপেও। আরব আমিরাতে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপ নিয়ে মাশরাফি জানিয়েছেন নিজের পরিকল্পনা।
গত এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে আট উইকেটে হেরে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। এবারে অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই নামবে বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্ট জিতে নিজেদের আক্ষেপ ঘুচাতে চাইবে তারা। মাশরাফি এ ব্যাপারে বলেন, ‘জয় নির্ভর করে প্রস্তুতির ওপর। অধিকাংশ খেলোয়াড়ের মতে এবার সাফল্য আসতে পারে। কিন্তু এমন মন্তব্য আমার পছন্দ না। আমি সামর্থ্য দিয়েই প্রমাণ দিতে চাই।’
প্রথম ম্যাচ থেকেই সাফল্যে আশাবাদী বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে জয় পেলে আসরে আমাদের পথচলা সহজ হয়ে যাবে। তবে সম্ভাবনা কতটুকু, তা এখনই বলা কঠিন। ভারত অনেক শক্তিশালী দল, পাকিস্তানকে স্বাগতিক বলা চলে। স্পিনারদের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। তবে আমাদের সামর্থ্য আছে। এখানে বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ রয়েছে। আমরা গ্রুপ পর্ব পার করতে পারি কি না এবং কেমন শুরু করছি সেটি দেখার বিষয়। সবকিছু ঠিক হলে সাফল্য আমরা পেতেও পারি।’
আরব আমিরাতের পরিবেশ নিয়ে কথা এসেছে অনেক আগেই। বাংলাদেশের জন্য সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন মাশরাফি। তিনি জানান, ‘পরিবেশ পরিস্থিতি সবসময়ই কঠিন। তাই খেলাও কঠিন হবে, এটাই স্বাভাবিক। দল হিসেবে দুবাই এবং শারজায় আমরা কখনো খেলিনি। কিন্তু অচেনা পরিবেশে খেলে ম্যাচ বের করে আনার ঘটনাও আমাদের রয়েছে।’
ইতিমধ্যে তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, সেরা ১০ ব্যাটসম্যানের মধ্যে থাকতে চান তিনি। মুশফিকও এমন কিছু আশা করেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য নিয়ে মাশরাফি মাঠে নামবেন না বলে জানান। তিনি বলেন, ‘না, আমার কোনো ব্যক্তিগত লক্ষ্য নেই। কখনোই থাকে না। নিজের সেরা অবদান রাখার চেষ্টা করব আমি। টুর্নামেন্ট শুরুতে বা চলার সময় নিজের এমন কোনো লক্ষ্যই আমার থাকে না।’
২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে আফগানিস্তান। সেই দলে আছেন বিশ্বসেরা স্পিনার রশিদ খান। তবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেললে রশিদ খানের বল থেকেও রান বের করা সম্ভব বলে জানালেন মাশরাফি। তাঁর মতে, ‘রশিদ খান বিশ্বমানের স্পিনার। ২০ ওভারের খেলায় রানের তাড়া ও শট খেলার চাপ থাকে। তাই রশিদ খানকে খেলতে সমস্যা হয়েছিল। ওয়ানডেতে এটা থাকে না। কিছু ওভার দেখে খেলা যায়। তার গুগলি থেকে রান বের করতে পারাই বড় চ্যালেঞ্জ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো খেললে সেটি আমাদের আফগানিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচেও আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’
তবে কি আফগানিস্তানকে ছোট দল মনে করছেন তিনি? উত্তর মাশরাফি নিজেই জানিয়েছেন, ‘সীমিত ওভারের খেলায় আফগানিস্তান সমীহ করার মতো দল। অবশ্যই দল হিসেবে আমি আফগানিস্তানকে শ্রদ্ধা করি। আমি মনে করি, তারাও আমাদের শ্রদ্ধা করে এবং সমীহ করেই আমাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে।’