তাতে লাভই হয়েছে মুমিনুলের!
পেসে শর্ট বলে ও স্পিনে অফব্রেকে খেলতে পারেন না এমন একটা তত্ত্ব সাবেক কোচ হাথুরুসিংহের সময় চালু হয়েছিল মুমিনুলের ব্যাপারে। জানেন সুযোগটা আকস্মিকভাবে আসতে পারে। সে জন্য গত কয়েক বছর ধরে দুর্বলতাগুলো নিয়ে কাজ করে গেছেন নিবিষ্টভাবে।
এনটিভিকে মুমিনুল বলেন, ‘হয়তো অফস্পিনে আমার কোনো জায়গায় প্রবলেম ছিল। সবারই হয়। আমি সেটা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছি। আমি শিখতে পেরেছি। আমার কাছে এটা পরবর্তীতে অনেক লাভই হয়েছে।’
এশিয়া কাপের আগে ইনজুরি হঠাৎই থাবা বসানোয় বেশ কিছু পরিকল্পনা নতুন করে গোছাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তামিম ও নাজমুলের ইনজুরির জন্য ব্যাকআপ ক্রিকেটার হিসেবে মুমিনুলকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে এ জন্যই। প্রধান নির্বাচক যখন এমন ভাবছেন, তখন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের থেমে থাকা চাকা চলতে শুরু করায় রোমাঞ্চিত মুমিনুল। প্রয়োজনে ইনিংস শুরু করতেও আপত্তি নেই তাঁর।
দলে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে সৌম্যকে পেছনে ফেলেছেন মুমিনুল। যে মুমিনুল ক্যারিয়ারের শুরুতেই ডাক পেয়েছিলেন ছয় বছর আগে সাকিবের ইনজুরির জন্য। সেই তিনিই ক্যারিয়ারের এ প্রান্তে এসে ওয়ানডেতে নতুন করে শুরু করার সুযোগ পাচ্ছেন ওই একই ইনজুরির সমস্যায়।
মুমিনুল বলেন, ‘মেন্টালি প্রিপেয়ার সেরকম ছিলাম না। কিন্তু প্র্যাকটিস যখন হচ্ছিল তখন নিজের মধ্যে নিতাম যে সুযোগ আসলেও আসতে পারে। যখন আপনি খেলবেন তখন আপনি আছেন কি নাই সেটা নিয়ে চিন্তা করে লাভ নাই। সব সময় নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করব, ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করব।’
১৫ থেকে ১৬তে পরিনত হওয়া দলে ডাক পাওয়া মানেই একাদশ নিশ্চিত নয়। তামিমের মত পরীক্ষিত ব্যাটসম্যান একান্ত না খেলতে পারলে হয়তো ইনিংসটাই উদ্বোধন করতে হবে মুমিনুলকে। যদিও টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাখ্যাতে শেষ পর্যন্ত তামিম-সাকিবের জন্য অপেক্ষা করার বিষয়টি স্পষ্ট।