এবার শোয়েব আখতার অপসারিত!
পাকিস্তানের ষষ্ঠ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতা গ্রহণের সময় ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। পরিবর্তন কেমন হতে পারে, সেটি নিয়ে মতভেদ থাকলেও পরিবর্তন শুরু হয়ে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি)। ইমরান খান ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে পিসিবিপ্রধান নাজাম শেঠি পদত্যাগ করেন। নতুন সভাপতি হিসেবে আসেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আিইসিসি) সাবেক সভাপতি ইহসান মানি। দায়িত্বে এসেই পিসিবির উপদেষ্টা বোর্ড থেকে শোয়েব আখতারসহ মোট চারজনকে অপসারণ করেছেন তিনি।
যাঁরা অপসারিত হয়েছেন, তাঁরা হলেন—শোয়েব আখতার, সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার সালাহউদ্দিন সাল্লু, ইসলামাবাদের আঞ্চলিক প্রধান শাকিল শেখ এবং আইজাদ সাইদ। তাঁরা সবাই নাজাম শেঠির সময় নিয়োগপ্রাপ্ত, যাঁদের মধ্যে শুধু শোয়েব আখতার ও সালাহউদ্দিন পিসিবি চেয়ারম্যানের বৈতনিক উপদেষ্টা ছিলেন। শাকিল ও সাইদ ছিলেন অবৈতনিক সদস্য। শোয়েব আখতার তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘আমি #পিসিবি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কমিটি থেকে এ মুহূর্তে পদত্যাগ করছি। @দ্যারিয়ালপিসিবি #শোয়েবআখতার’ এই বিষয়ে তিনি জানান, পিসিবির এহেন পরিবর্তনে সেখানে কাজ করা অনৈতিক। এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শোয়েব আখতার বলেন, ‘আমি এই দায়িত্ব আর পালন করতে পারব না। কারণ, পিসিবির শাসন ব্যাবস্থায় পরিবর্তনের এমন সময় কাজ করা অনৈতিক।’ গত বৃহস্পতিবার শোয়েব আখতার ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারটি জানিয়ে টুইট করলেও আনুষ্ঠানিক পত্রের মাধ্যমে পিসিবি জানায়, অপসারিত সদস্যদের সেবার আর কোনো প্রয়োজন নেই পিসিবির।
নতুন সভাপতি আসার পর পিসিবির গঠনতন্ত্র, সংবিধান এমনকি প্রতিদিনের কাজেও পরিবর্তন এসেছে। শুধু সিনিয়র ও জুনিয়র দলের জন্য জাতীয় নির্বাচক কমিটি এ পর্যন্ত কার্যকর আছে। মানি আরো বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মচারীর সংখ্যা ৯০০, যা অনেক বেশি। তাঁর মতে, ‘আমার মনে হয়, এত বড় সংখ্যক কর্মচারী আর কোনো ক্রিকেট বোর্ডে নেই। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ, পিসিবি সবকিছু এক জায়গায় নিয়ে এসেছে। এগুলো বিকেন্দ্রীকরণ করা প্রয়োজন। কোনো ক্রিকেট বোর্ডই স্টেডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে না, সেগুলো বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্বে থাকে।’
সত্য বলতে, মানি দায়িত্বে এসেই শেঠির গঠন করা সব কমিটিকে অভ্যন্তরীণ কলহের জের ধরে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাতিল ঘোষণা করেন। মানি প্রধান ফিন্যান্স অফিসারের কথা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি অডিট কমিটিতে কাজ করছেন, অথচ তিনিই প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি কীভাবে তাহলে অডিট কমিটিতে থাকতে পারেন? এটা ভালো বিষয় নয়।’ একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, শেঠির গঠিত সব কার্যকর কমিটি পেশাদারিত্বের বাইরে ছিল। তবে এবার মানির পরিবর্তিত পেশাদার কমিটি পাকিস্তান ক্রিকেটে কতটুকু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন রাখবে, সেটি সময় হলেই দেখা যাবে।