পাক-ভারত ম্যাচে আবারও একপেশে ফলাফল?
এবারের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে কোনো ম্যাচেই দাঁড়াতে পারেনি প্রতিপক্ষ দল। রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরোধের কারণে ভারত বনাম পাকিস্তানের খেলা ভক্তদের কাছে অন্যান্য ম্যাচের তুলনায় বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, এই উত্তেজনা শুধু আবেগ কেন্দ্রিক। ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান।
এশিয়া কাপের ১৪তম আসরে ভারতের প্রথম ম্যাচ ছিল হংকংয়ের বিপক্ষে। প্রথম ইনিংসে হংকংয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের ফলে সাত উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান করতে সমর্থ হয় ভারত। জবাবে আট উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান করে হংকং। সেই ম্যাচেই জয় আনতে সামান্য বেগ পেতে হয়েছিল ভারতকে। তাঁর পরের ম্যাচগুলোর ফলাফল ছিল একপেশে। ভারতের সামনে গ্রুপ পর্বেই দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান। ভারতের অসাধারণ বোলিংয়ে ৪৩.১ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৬২ রান তুলতে সমর্থ হয় পাকিস্তান। জবাবে ১২৬ বল হাতে রেখেই মাত্র দুই উইকেট খরচায় জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। এটিই তাঁদের সর্বোচ্চ সংখ্যক বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড, সেটিও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে। সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ভারত প্রথমে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশকে। সেখানেও বোলিং তোপে পুড়েছে বাংলাদেশ। ১৭৩ রানের জবাব দিতে মাত্র ৩৬.২ ওভার সময় নেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে সিরিজ লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকার মতো বড় বড় দলগুলোর কেউই ভারতের বিপক্ষে ভালো করতে পারেনি। সেখানে অধিকাংশ সিরিজ জয়ে ম্যাচ ব্যবধান ৩-১, ৫-০ কিংবা ৫-১ অথবা ২-১। শুধু একটি হার সিরিজে, সেটিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে এমন দাপটের দেখা নেই পরিসংখ্যানে। ভারত পাকিস্তান এ পর্যন্ত একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ১২৯ বার। ৭৩ বারই জিতেছে পাকিস্তান এবং ৫২ বার জিতেছে ভারত। চারটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল। তবে এই সিরিজে কোনো ম্যাচেই পরিসংখ্যান কাজে লাগেনি বলা চলে। নবীন দেশ আফগানিস্তান হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। ভারত যেমন ফর্মে আছে, তাতে ম্যাচ একপেশে হওয়ার জন্য বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়ের যেকোনো একটি বিভাগে সামান্য ভুলই যথেষ্ট।
ভক্তরা অবশ্যই আশায় থাকবে আরেকটি জমজমাট ম্যাচ দেখার। ভারত অবশ্যই নির্ভার থাকবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের পর সুপার ফোরে এগিয়ে আছে তাঁরা। শক্তিশালী আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করেছে পাকিস্তানও। এই ম্যাচে হারলে পাকিস্তান পিছিয়ে পড়বে ফাইনালের দৌড়ে। তবে সব জল্পনা কল্পনা ছাড়িয়ে ম্যাচ একপেশে হয়ে যাবে কি না, সেটি মাঠেই দেখা যাবে।