আবারও মুশফিক-মিঠুন, আবারও একটা স্বপ্ন
চলমান এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। যখন দুই ওভারের মধ্যে বিদায় নিয়েছেন তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান— তখন মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে ১৩১ রানের জুটি গড়েন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিক। করেছিলেন ১৪৪ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। আজ বুধবার সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষেও ঠিক একই ভাবে দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেছে এই জুটি। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তখনই মুশফিক-মিঠুন জুটির দৃঢ়তা বড় সংগ্রহের পথ দেখায় বাংলাদেশকে।
আজ বুধবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ওভারে যথাক্রমে সৌম্য সরকার, মমিনুল হক এবং লিটন দাস আউট হয়ে গেলে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। আবারও টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ভাবাচ্ছিল বাংলাদেশ দলকে। তখনই ধীরে ধীরে বল বুঝে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটসম্যান। স্ট্রাইক রোটেট করতে থাকেন দুজন। তখন ছক্কা-চারের বদলে একরান, দুই রানও অনেক মূল্যবান মনে হচ্ছিল ভক্তদের কাছে। কারণ প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে নেই তিন উইকেট। সেখানে স্কোর বোর্ডে জমা রয়েছে মাত্র ২৭ রান। তাই ক্রিজে টিকে থাকার জন্য সেরা সিদ্ধান্তই নিয়েছেন মিঠুন-মুশফিক। এর পরের ওভারগুলোয় অবশ্য একটু একটু করে রান করেছেন দুজনেই। একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে মোহাম্মদ মিঠুন নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক এবং মুশফিক নিজের ৩০তম অর্ধশতক তুলে নেন দ্রুতই।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিঠুন-মুশফিকের ১৩১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিই পথ দেখিয়েছিল বাংলাদেশকে। এই ম্যাচেও তাঁদের জুটিতে এসেছে শতরানের বেশি। শ্রীলঙ্কার মতো পাকিস্তানের বিপক্ষেও জয় নিয়ে টাইগাররা ফাইনালে পা রাখবে কিনা, তা নির্ভর করবে মিঠুন-মুশফিক জুটির মতো দলের সবাই নিজেদের কাজ করতে পারবেন কি না তার ওপর।