বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবেন না গেইল
আফগান প্রিমিয়ার লিগে এ মুহূর্তে খেলছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। এরপর খেলবেন টি১০ লিগ। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের বিপক্ষে আসন্ন দুটি সফরে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি তিনি স্পষ্টভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজও (সিডব্লিউআই) এ তথ্য নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে বলেছে, উপমহাদেশের এ দুটি সিরিজে না খেললেও আগামী বছরের শুরুতের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ ও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তিনি খেলতে রাজি আছেন।
নভেম্বরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ঢাকায় আসছে। এই সিরিজে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টাইগাররা দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি২০ ম্যাচ খেলবে। টেস্টে দীর্ঘদিন ধরে না খেললেও সীমিত ওভারের ম্যাচে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংয়ের মূল ভরসা এখনো গেইল। কিন্তু সেই গেইলকেই দেখা যাবে না বাংলাদেশ ও ভারত সফরে।
এদিকে দুই বছর পরে সব ধরনের ফরমেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফিরেছেন ড্যারেন ব্রাভো ও কিয়েরন পোলার্ড। আগামী বছর ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে দলে হাই-প্রোফাইল খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে চায় ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারই ধারাবাহিকতায় অভিজ্ঞ ব্রাভো ও পোলার্ডকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বোর্ডের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধের জের ধরে এ দুজন সিনিয়র খেলোয়াড় এত দিন দলের বাইরে ছিলেন। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেট ও বিদেশি টি২০ লিগ খেলা নিয়ে দুজনের সঙ্গে বোর্ডের বিরোধের সূত্রপাত হয়। বোর্ড স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল, জাতীয় দলে খেলার অন্যতম শর্তই হচ্ছে নিয়মিতভাবে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে পারফরম্যান্স প্রমাণ করা। তবে বিশ্বকাপ সামনে রেখে অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য ঘরোয়া ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টটিকে সরিয়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবীয় বোর্ড। এর ফলে সুপার৫০ ও বিভিন্ন বিদেশি টি২০ লিগের সঙ্গে সংঘর্ষ খুব কমই হবে। খেলোয়াড়রা যদি সুপার৫০ খেলে নিজেদের প্রমাণ করতে পারে, তবে তাদের জন্য বিশ্বকাপের দরজা অনেকটাই উন্মুক্ত হয়ে যাবে বলে বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে।
ভারত সফরে দল থেকে ছিটকে গেছেন ডোয়াইন ব্রাভো ও লেন্ডল সিমন্স। স্পিনার সুনীল নারিনও দলে বাইরে রয়েছেন। সিডব্লিউআই প্রধান নির্বাহী কলিন গ্রেভ বলেছেন, অলরাউন্ডারের জায়গায় বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। এ জন্য ডোয়াইন ব্রাভোকে আরো বেশি কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
ওয়ানডে দলে তিনজন নতুন মুখ জায়গা পেয়েছেন। ওপেনার চন্দরপল হামরাজের সঙ্গে দলে এসেছেন অলরাউন্ডার ফাবিয়ান অ্যালেন ও পেসার ওশানে থমাস। অ্যালেন ও থমাস ভারতের বিপক্ষে টি২০ দলেও রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে এই দলে আরো ডাক পেয়েছেন নতুন বাঁহাতি পেসার ওবেদ ম্যাককয়, বাঁহাতি স্পিনার খারি পিয়েরে ও বিগ-হিটিং ব্যাটসম্যান শারফেন রাদারফোর্ড।
গত সপ্তাহে সাদা বলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়া এভিন লুইস দুই স্কোয়াডেই রয়েছেন। গত বছর পিঠের ইনজুরিতে পড়া ফাস্ট বোলার আলজারি হোসেফ ওয়ানডে দলে ডাক পেলেও ফিটনেসের ওপর তাঁর অন্তর্ভুক্তি নির্ভর করছে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দলে ডাক পেয়েছিলেন জোসেফ। কিন্তু দুটি ফিটনেস পর্যবেক্ষণের পর বাদ পড়েছেন।
চলতি বছর সিপিএলের অন্যতম তারকা ছিলেন ওশানে থমাস। জ্যামাইকা তালাওয়াসের হয়ে ১৭.৬৬ গড়ে পেয়েছিলেন ১৮ উইকেট। পিয়েরে ও ম্যাককয়ও সিপিএলের পারফরম্যান্সের ওপরই দলভুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে অ্যালেন ও হামরাজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ ও বি দলের হয়ে পারফর্ম করেছেন।
ওয়ানডে স্কোয়াড : জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), ফাবিয়ান অ্যালেন, সুনীল আমব্রিস, দেভেন্দ্র বিশু, চন্দরপল হামরাজ, শিমরন হেটমায়ার, শাই হোপ, আলজারি জোসেফ, এভিন লুইস, অ্যাশলে নার্স, কিমো পল, রোভমান পাওয়েল, কেমার রোচ, মারলন স্যামুয়েলস, ওশানে থমাস।
টি২০ স্কোয়াড : কার্লোস ব্রাথওয়েইট (অধিনায়ক), ফাবিয়ান অ্যালেন, ড্যারেন ব্রাভো, শিমরন হেটমায়ার, এভিন লুইস, ওবেদ ম্যাককয়, অ্যাশলে নার্স, কিমো পল, খারি পিয়েরে, কিয়েরন পোলার্ড, রোভমান পাওয়েল, দিনেশ রামদিন, আন্দ্রে রাসেল, শেরফানে রাদারফোর্ড, ওশানে থমাস।