মেসির সমালোচকরা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত!
আর্জেন্টাইন বার্সা তারকা লিওনেল মেসি বর্তমানে নেই আর্জেন্টিনা দলে। রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে হেরে শেষ ১৬ থেকে বাদ পড়ার পর থেকেই দলে নেই তিনি। দেশের আন্তর্জাতিক দল থেকে সাময়িক বিরতিতে থাকলেও থেমে নেই মেসির সমালোচকদের মুখ। সেই তালিকায় আছেন স্বয়ং ম্যারাডোনাও। তবে এবার মেসির পক্ষে মুখ খুলেছেন আরেকজন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি মারিও কেম্পস। মেসির সমালোচকদের মানসিকভাবে অসুস্থ বলেও দাবি এই সাবেক তারকার।
উল্লিখিত তিনজন আর্জেন্টাইন তারকাই কোনো না কোনো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন। তবে ১৯৭৮ সালে কেম্পস কিংবা ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা যা পেরেছেন, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে ফাইনাল খেলেও সেটি পারেননি মেসি। সম্প্রতি মেসির প্রশংসা করলেও তাঁর নেতৃত্বগুণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ম্যারাডোনা। মাঠে নামার আগে মেসির ২০ বার বাথরুমে যাওয়ার ব্যাপারে ম্যারাডোনার উক্তিটি এখন সবার মুখে মুখে ঘুরছে। তবে এসব সমালোচনা উড়িয়ে দিয়েছেন কেম্পস। কোনো খেলোয়াড়ের একার পক্ষে ম্যাচ জয় অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গোল ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেম্পস বলেন, ‘আমরা সবাই জানি মেসি একা জিততে পারবে না। কিছু মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত বা অসুস্থ মানুষ আছে যারা মেসির প্রতিভাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে কিংবা বলবে সে দেশের জন্য কিছু করে না। সে জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলায় না অথবা ম্যাচের আগে ৫০ বার বাথরুমে যাওয়ার মতো মন্তব্যও তারা করতে পারে। এই কথাগুলো মনোযোগ আকর্ষণের জন্য বলা হয়। ডিয়েগোর ব্যাপারে কিছু খবর শুনেছি, যাতে মনে হয়েছে তাঁর খারাপ লেগেছে মেসির নেতৃত্ব। খবরগুলো হয়তো ভুলভাবে ব্যাখ্যা করাও হতে পারে। আমার মতে, সুনামির মতো ফুঁসে ওঠা জল আগে শান্ত করা উচিত। ম্যারাডোনা মুখ খুললেই তা আমাদের জন্য মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়। সে ফুটবল নিয়ে কথা বলতে পারে, তবে ব্যক্তির ব্যাপারে মন্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের বিষয়টি বাদ দেওয়া প্রয়োজন এবং ম্যারাডোনার মেক্সিকান দলটির কোচিংয়ে মনোযোগী হওয়া উচিত।’
মেসি ছাড়াই আর্জেন্টিনা জাতীয় দল কিছুদিন আগে জেদ্দায় সুপারক্লাসিকোতে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়। সেই পরীক্ষামূলক দল মাত্র ১-০ গোলে হারে, গোলটিও হজম করেছে শেষ মিনিটে। এতে হতাশার কিছু দেখছেন না কেম্পস। তিনি বলেন, ‘তারা খারাপ খেলেনি। আমাদের শান্ত হতে হবে। আর্জেন্টিনা নতুন যুগে পা রেখেছে, এই মুহূর্তে কোনো সংকট নেই। সব মিলিয়ে উন্নতি হয়েছে আমি বলব। প্রজন্মে পরিবর্তন এসেছে। মেসি দলে নেই, এটি ভালো ব্যাপার। তাঁর দলের জার্সি থেকে কিছুদিনের মনঃবিরতি প্রয়োজন আছে।’
মেক্সিকোর বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচে আগামী নভেম্বরে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। কেম্পসের মতো অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবেন, আর্জেন্টিনা দল মেসি ছাড়া সংকটে নেই। তবে দলে অবস্থা আসলেই তেমন কি না, সেটি মাঠেই প্রমাণ করবে আর্জেন্টিনা দল।