স্পিনার না খেলানোর আক্ষেপ ভারতের
ইতিহাসে তৃতীয় বারের মতো কোনো স্পিনার ছাড়াই টেস্ট দল নিয়ে মাঠে নেমেছে ভারত। তার খেসারত বেশ ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন দুই অস্ট্রেলীয় ওপেনার রায়ান হ্যারিস এবং অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথম উইকেট জুটিতেই ১১২ রান করে দলকে সুস্থিত ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন তারা। অবশ্য পরবর্তী ৩৬ রানেই অসিরা ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে। তবে মাঝে শন মার্শ এবং ট্রেভিস হেডের দৃঢ়তায় স্বস্তিদায়ক রান সংগ্রহ করতে পেরেছে স্বাগতিকরা। তবে তারা আউট হয়ে গেলে টিম পেইন এবং প্যাট কামিন্স দিন শেষ করেন ২৭৭ রানে ৬ উইকেটের বিনিময়ে।
স্পিনার হিসেবে সাময়িকভাবে বল করে থাকেন হানুমা বিহারি। রবিচন্দন অশ্বিন কিংবা রবীন্দ্র জাদেজার মতো কোনো প্রতিষ্ঠিত স্পিনার না থাকায় তাঁকেই ব্যবহার করেছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। হানুমা পেয়েছেন হ্যারিস এবং মার্শের উইকেটটি। এমনকি স্পিনার না থাকায় অ্যাডিলেডে খেলে আসা পেসার ইশান্ত শর্মা, জসপ্রীত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ শামির উপরেও বেশি চাপ পড়ছে।
উদ্বোধনী জুটির দুই ব্যাটসম্যান হ্যারিস এবং ফিঞ্চ অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন। ষষ্ঠ উইকেটে ৮৪ রানের জুটি গড়া হেড এবং মার্শের মধ্যে হেড অর্ধশত পেলেও একই মাইলফলক থেকে ৫ রান দূরেই আউট হয়েছেন মার্শ। হানুমা বিহারি এবং ইশান্ত শর্মা দুটি করে এবং বুমরাহ ও যাদব একটি করে উইকেট পেয়েছেন। প্রথম দিন শেষে এমন উইকেটে একজনও প্রতিষ্ঠিত স্পিনার না খেলানোর জন্য আফসোস হতে পারে কোহলির। কারণ, সাময়িক স্পিনার বিহারির বল যেভাবে টার্ন নিচ্ছে, তাতে অন্তত একজন প্রতিষ্ঠিত স্পিনারও ভারতকে দিনশেষে আরো সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে যেতে পারতো।