টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টি মাত্র ২০ ওভারের খেলা। একজন ব্যাটসম্যান বা একটি দল কত রানই বা করতে পারে ২০ ওভার ব্যাট করে। তথাপি ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬৩ রান তুলে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে শনিবার দেরাদুনের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেই রেকর্ড ভেঙে আফগানিস্তান তুলল অবিশ্বাস্য ২৭৮ রান! দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হজরতউল্লাহ জাজাই একাই করলেন ১৬২ রান! টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ স্কোর গড়ার বিশ্বরেকর্ডের দিন আফগানরা জিতেছে ৮৪ রানে।
বিশ্বরেকর্ড হয়েছে আরো একটি। আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ব্যাট করতে নেমে ১৭.৩ ওভারে তুলেছেন ২৩৬ রান। ওপেনিং তো বটেই, টি-টোয়েন্টির যেকোনো উইকেট জুটিতে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০১৮ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডি শর্ট তুলেছিলেন ২২৩ রান। আফগানদের হয়ে ওপেনার উসমান গনি ৪৮ বলে ৭৩ রান করে আউট হয়েছেন সাত চার ও তিন ছয়ে।
তবে অল্পের জন্য হয়নি আরেকটি বিশ্বরেকর্ড। আফগান ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই মাত্র ৬২ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ১৬২ রানে। সেঞ্চুরি করেছেন ৪২ বলে। জাজাইয়ের ১১টি চার ও ১৬টি ছক্কায় সাজানো ইনিংসটা অল্পের জন্য সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরের রেকর্ড গড়তে পারেনি। আফগান ইনিংসের শেষ ১২ বলের মাত্র দুটি খেলতে পেরেছেন জাজাই। দুই বল থেকে নিয়েছেন পাঁচ রান। আর ১১ রান করতে পারলেই টি-টোয়েন্টিতে অ্যারন ফিঞ্চের বিশ্বরেকর্ড ১৭২ রানের রেকর্ডটা ভেঙে যেত।
সেটি না পারলেও শেষদিকে মোহাম্মদ নবীর ৫ বলে ১৭ রানের ইনিংসে তিন উইকেটে ২৭৮ রানের রেকর্ড ইনিংস গড়ে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কেভিন ও’ব্রায়েন ও পল স্টার্লিং ১১.৫ ওভারে ১২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন আইরিশদের হয়ে। তবে দুজনের আউটের পর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। স্টার্লিং ৫০ বলে ৯১ ও কেভিন ও’ব্রায়েন ৩৭ রান করেন। আফগানিস্তানের রশিদ খান ২৫ রান দিয়ে নেন চার উইকেট।
এই জয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান। অবিশ্বাস্য এক ইনিংসের জন্য ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন আফগান ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই।