আবারও দুর্দান্ত তামিম, বোলিংয়ে দারুণ উজ্জ্বল জায়েদ
ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দুদিন টানা বৃষ্টিতে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। অবশেষে তৃতীয় দিনে এসে শুরু হলো ম্যাচ। ভেজা উইকেট ও আউটফিল্ডে টস জিতে সংগত কারণেই বোলিং বেছে নিলেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আগের টেস্টে খেলা স্পিনার টড অ্যাস্টলকে বসিয়ে পেস শক্তি বাড়াতে কিউই দলে নামানো হলো ফাস্ট বোলার ম্যাট হেনরিকে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে তখন ওয়েলিংটনের প্রথম দুদিনের আকাশের মতো কালো মেঘের ঘনঘটা। ব্যাটিংয়ে নেমে বোল্ট-সাউদিদের সামনে কী যেন হয়!
কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে স্বপ্নের মতো শুরু করে সব আশঙ্কা নিমেষেই দূরে ঠেলে দিলেন তামিম ইকবাল। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে টানা তিন ইনিংসে অর্ধশত বা এর বেশি রান এনে দিলেন দলকে। নিউজিল্যান্ড সফরে ১৯ বছর পর এমন কীর্তি গড়লেন সফরকারী কোনো দলের ওপেনাররা। এর আগে ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার গ্যারি কারস্টেন ও হার্শেল গিবস টানা তিন ইনিংসে অর্ধশত রানের জুটি গড়েছিলেন।
তামিম ইকবালই ছিলেন আক্রমণের নেতৃত্বে। ওপেনিংয়ে ৭৫ রানের জুটিতে সাদমানের অবদান ২৭। কিন্তু নান্দনিক সব শট খেলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। সাদমানের আউটের পর মুমিনুল হককে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৪ রানের জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু লাঞ্চের আগেই মুমিনুলের পর মোহাম্মদ মিঠুনও আউট হলে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ১৩৪ রানে তামিম আউট হওয়ার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। হ্যামিল্টন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১২৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম করেছিলেন ৭৪ রান। ১১৪টি বল খেলে আজও ৭৪ রানে আউট হয়েছেন ড্যাশিং ব্যাটসম্যান। তার আগে ১০টি চোখজুড়ানো বাউন্ডারি তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে। এরপর লিটন দাস ৩৩ রান করে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। কিন্তু অন্যদের ব্যর্থতায় বৈরী পরিবেশে অসাধারণ একটা সূচনার পরও বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২১১ রানে।
বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশের হতাশার পালে আশার সঞ্চার করেছেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। আগের ম্যাচে একটি উইকেটও পাননি ডানহাতি এই সুইং বোলার। কিউইদের বিরাট স্কোরের ম্যাচে দুই ওপেনার জিত রাভাল ও টম ল্যাথাম বিশাল সেঞ্চুরি হাঁকান। দুজনকে নিয়ে ভয় ছিল এ ম্যাচেও। কিন্তু মাত্র আট রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন জায়েদ। এরপর কিউইরা ৩৮ রান পর্যন্ত তুলতেই বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়।