এমন জয় আগে পায়নি অস্ট্রেলিয়া
সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে প্রায় অনায়াস জয় পায় ভারত। স্বাগতিকদের সিরিজ জয়টাকে তখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। তৃতীয় ম্যাচে এসে জয় পেয়ে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ায় অসিরা। আর রোববার চতুর্থ ম্যাচে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ে সিরিজে ২-২ সমতা ফেরাল অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের মাটিতে শক্তিশালী ভারতকে সিরিজ জেতার জন্য আগামী বুধবার দিল্লিতে তাই কঠিন এক পরীক্ষায় নামতে হবে পঞ্চম ম্যাচে।
প্রথমে ব্যাট করা ভারত ৩৫৮ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ে। কিন্তু দুঃস্বপ্নের মতো শুরু করলেও ১৩ বল বাকি থাকতেই চার উইকেট হাতে রেখে সেই রান টপকে যায় অ্যারন ফিঞ্চের দল। দিবারাত্রির ম্যাচে মোহালির আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে টস জিতে কালবিলম্ব না করে ব্যাটিং বেছে নেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাদের প্রথম উইকেটটা পড়ে ৩১তম ওভারের শেষ বলে। সেঞ্চুরি মিস করে ৯৫ রান করা রোহিত শর্মা আউট হন ঝাই রিচার্ডসনের বলে। দলের স্কোর তখন ১৯৩ রান। বাকি ১৯ ওভারে ১৫৯ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। ওপেনার শিখর ধাওয়ান অনবদ্য ১৪৩ রান করে আউট হন ১১৫ বল খেলে। দলের একমাত্র ব্যর্থ হওয়া ব্যাটসম্যানের নাম বিরাট কোহলি, আউট হন মাত্র ৭ রান করে! অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ১০ ওভার বল করে ৭০ রানে পাঁচটি ও রিচার্ডসন নয় ওভারে ৮৫ রানে তিনটি উইকেট নেন।
এর আগে ওয়ানডেতে রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় জয় ছিল ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সিডনিতে সেই ম্যাচটা অসিরা জিতেছিল ৩৩৩ রান তাড়া করে। মোহালিতে এর চেয়েও বড় রান তাড়া করতে নেমে তাদের শুরুটা হয় অবিশ্বাস্য রকমের বাজে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শূন্য রান করে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ আউট হয়ে যান। চতুর্থ ওভারে শন মার্শও আউট হলে ১২ রানে দুই উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া মারাত্মক চাপে পড়ে যায়। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে উসমান খাজা ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব ১৯২ রান তুলে দলকে কক্ষপথে ফেরান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান খাজা ৯৯ বলে ৯১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। আর ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে শতরান করা হ্যান্ডসকম্ব ১০৫ বলে ১১৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন।
ডানহাতি হ্যান্ডসকম্ব যখন আউট হন, তখন অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৫৩ বলে ৮৮ রান তোলার চ্যালেঞ্জ। কিন্তু অ্যাস্টন টার্নার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৪৩ বলে ছয় ছক্কা ও পাঁচ চারে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস খেলে অসিদের অবিস্মরণীয় এক জয় এনে দেন। ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও জেতেন টার্নার।