নারী সাংবাদিককে চুমু : সমালোচনার ঝড় বইছে!
ঘটনাটা ঘটে গতকাল শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ার কোস্টা মেসায়। রোমানিয়ার বক্সার বোগদান দিনুর মুখোমুখি হন বুলগেরিয়ার হেভিওয়েট বক্সার কুবরাত পুলেভ। বোগদানকে হারিয়ে ম্যাচটা জিতে নেন ৩৭ বছর বয়সী কুবরাত। ম্যাচশেষে অনুভূতি জানার জন্য ক্যালিফোর্নিয়ার ‘ভেগাস স্পোর্টস ডেইলি’র নারী সাংবাদিক জেনিফার রাভালো মুখোমুখি হন বিজয়ী কুবরাতের। কিন্তু সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে বিব্রতকর এক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন বুলগেরিয়ান বক্সার। সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় হঠাৎ করেই জোর করে জেনিফারকে চুমু খান কুবরাত।
ঘটনার পরপরই কুবরাতের বক্সিং লাইসেন্স বাতিল করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার বক্সিং কর্তৃপক্ষ। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বক্সিং ম্যাচটার লড়াইয়ের উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত নিয়ে প্রশ্ন করার একপর্যায়ে জেনিফারকে জড়িয়ে ধরছেন সেই বক্সার। এমন ঘটনার পর ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের অ্যাথলেটিকস কমিশন জানিয়েছে, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে নারী সাংবাদিককে এমন হেনস্তা করার ব্যাপারটাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে তারা। অভিযুক্ত বক্সারকে কমিশনের মুখোমুখি হতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বক্সার কুবরাত পুলেভ। ওই নারী সাংবাদিককে নিজের পরিচিত বান্ধবী বলে দাবি করেন তিনি। টুইটারে পাঠানো এক বিবৃতিতে ৩৭ বছর বয়সী বক্সার বলেন, ‘জেনি আমার পরিচিত বান্ধবী। ম্যাচ শেষে নেওয়া আমার সাক্ষাৎকারটা শেষ হলে আমি ওকে চুমু খাই। এরপর আমার ম্যাচ জেতার পার্টিতে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে জেনিও যোগ দেয়। এমনকি ভিডিওতে যে চুমু দিতে দেখা গেছে, সেটা হয়ে যাওয়ার পরে আমরা হেসে ফেলি এবং একে অপরকে বিদায়ও জানাই। এর মধ্যে অন্য কিছু নেই।’
তবে কুবরাতের এসব দাবিকে মিথ্যা আখ্যা দিয়েছেন চুমু ঘটনার শিকার জেনিফার। ঘটনার পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেনিফার বলেন, ‘এমন ঘটনা বিরক্তিকর ও অমর্যাদাকর। এটা আমাকে অস্বস্তিতে ফেলেছে এবং চরম হতাশ করেছে। কুবরাতের এমন অপেশাদার আচরণে আমি তাৎক্ষণিকভাবে বিব্রত ও বিস্মিত হয়েছি। কীভাবে ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে, সেটাও ভেবে পাচ্ছিলাম না। সাক্ষাৎকার শেষে আমি যখন টেবিলে ব্যাগ গোছাচ্ছিলাম, তখনও সে আমাকে হয়রানি করে এবং হাসিমুখে আমাকে কিছু না বলেই চলে যায়।’
সংবাদ সম্মেলনের সময় জেনিফারের আইনজীবী গ্লোরিয়া অলরেড পাশেই বসে ছিলেন। তিনিও এই ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও বেআইনি’ বলে অভিহিত করেন। ঘটনার শিকার নারী সাংবাদিক দাবি করেন, এই ম্যাচের আগের দিন প্রথম ওই বক্সারের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। নিজের বক্তব্যে জেনিফার রাভাল আরো বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের সদস্য হিসেবে পেশাগত কারণে আমি ম্যাচটা কভার করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিনা অনুমতিতে এভাবে কোনো নারীকে জড়িয়ে ধরা এবং চুমু খাওয়া একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।’