ক্ষুব্ধ সমর্থকদের ওপর মেসির রাগ!
চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার রাতে মুখোমুখি হয়েছিল স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা এবং ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বার্সেলোনা দলে লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজরা থাকলেও ম্যাচের আগেই চোটের কারণে দলের সেরা তারকা মোহাম্মেদ সালাহকে হারায় লিভারপুল। অলরেডদের জন্য ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে আসে ইনজুরির কারণে দলের আরেক তারকা ফিরমিনোর ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার খবর। সব মিলিয়ে ম্যাচের আগেই ফুটবল অনুরাগী এবং বিশ্লেষকদের হিসাব-নিকাশে ফেভারিটের আসনে বসে যায় বার্সা।
ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে প্রথম লেগ ৩-০ গোলে জিতে ফাইনালে এক পা আগে থেকেই দিয়ে রেখেছিল বার্সেলোনা। সম্ভাব্য সব প্রতিকূল পরিস্থিতি তাই লিভারপুলের জন্য বিরাজ করছিল। কিন্তু ফুটবলবিশ্বকে অবাক করে দিয়ে ম্যাচের সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে অলরেডরা। কোণঠাসা অবস্থায় থাকা দলটিই বার্সাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায়। অন্যদিকে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার পরও কাতালানদের এমন পরাজয়কে ‘শতাব্দীর সেরা পতন’ হিসেবে অভিহিত করে বার্সার সমর্থকরা।
ম্যাচটা দেখার জন্য অনেক কাতালান সমর্থক উড়ে গিয়েছিলেন লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে। অভাবনীয় পরাজয়ের পর বিমানবন্দরে দলের খেলোয়াড়দের দুয়ো দিতে থাকেন দলটির সমর্থকরা। বার্সা সমর্থকদের এমন আচরণে হতাশ হন দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি। ক্ষুব্ধ সমর্থকদের ওপর মেজাজ হারান এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। একপর্যায়ে রাগত স্বরে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমি কী করেছি!’ তবে ক্ষান্ত হননি কাতালান দর্শকরা পুনরায় একই দুয়ো দিতে থাকেন। পুনরুক্তি করে মেসিও বলেন ‘আমি কী করেছি!’
তবে বার্সেলোনার সমর্থকদের ক্ষোভটা অবশ্য একেবারে অমূলক নয়। প্রথম লেগ জিতে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার পরও লজ্জাজনকভাবে হেরে যায় আর্নেস্তো ভেলভার্দের দল। নিজেদের রক্ষণভাগে একের পর এক শিশুসুলভ ভুল করে দলটির খেলোয়াড়রা। তাই চার গোল হজম করে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যেতে হয় বার্সাকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের গত মৌসুমেও একই রকম পরিণতি হয় বার্সার। ইতালিয়ান দল এ এস রোমার বিপক্ষে প্রথম লেগে জয়ের পরও দ্বিতীয় লেগে বাজেভাবে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় মেসি-সুয়ারেজরা।