মিরাজের জোড়া আঘাতে আবার চাপে নিউজিল্যান্ড
প্রথমে ব্যাট করে খুব বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দিয়েছে ২৪৫ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল কিউইরা। দলীয় ৫৫ রানে দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান।
কিন্তু তৃতীয় উইকেট জুটির দৃঢ়তায় চাপ সামেল এগিয়ে যাচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ইনিংসের ৩২তম ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে আবার কিউইদের কিছুটা চেপে ধরেছে বাংলাদেশ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ৩৩ ওভারে ১৬৪ রান নিয়েছে। তারা উইকেট হারিয়েছে চারটি।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ২৪৪ রানে থেমেছে গেল বাংলাদেশের ইনিংস। ৫০ ওভারে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
প্রথম ২৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১২০ রান করে বাংলাদেশ। সাকিব-মুশফিক ৫০ রান তোলেন। এরপর আর বড় জুটি গড়ে উঠেনি। সাকিব ৬৪ করে বিদায় নেন।
মিঠুন ও মাহমুদুল্লাহ জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু মিঠুন ২৬ রানে ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২০ রানে আউট হন। মোসাদ্দেক ও মিরাজও আজ তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে শেষ দিকে দ্রুত রান বাড়ান সাইফুদ্দিন। ২৩ বলে ২৯ রান করে হেনরির বলে বোল্ড হন তিনি।
বোলারদের মধ্যে হেনরিই ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে। নয় ওভার দুই বলে ৪৭ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। বোল্ট দুইটি উইকেট লাভ করেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে যেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। শুরুটা ভালো করার পরেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি না সৌম্য ও তামিম। প্রথম ১৭ ওভারে দুই ৭২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
কিউই বোলারদের ওপর চড়াও হয়েই শুরু করেন সৌম্য সরকার। ২৫ বলে ২৫ রানে ছিল চারটি চারের মার। হেনরির বলে বোল্ড হন তিনি। ফার্গুসনের বলে বোল্টকে ক্যাচ দেওয়ার আগে তামিম করেন ২৪ রান। ওপেনারদের বিদায়ের পর মাঠে নামেন সাকিব ও মুশফিক।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ী দলটিকে নিয়েই মাঠে নামে বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত ৩৪টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ড। ২৪টি জয়ে এগিয়ে আছে ব্ল্যাকক্যাপরা। বাংলাদেশের মতো উইলিয়ামসনরাও জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ১৩৬ রানে গুটিয়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। ১০ উইকেটে জয় পায় ব্ল্যাকক্যাপরা।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে পরাজিত করে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের করা ছয় উইকেটে ৩৩০ রানের জবাবে আট উইকেটে ৩০৯ রানে থেমে যায় দ. আফ্রিকা।