সেঞ্চুরিতে খুশি, দলের ব্যর্থতায় হতাশ সাকিব
বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত প্রথম সেঞ্চুরি, এই আনন্দটাই আলাদা সাকিব আল হাসানের কাছে। তবে তাঁর এই সাফল্যের দিনে দল হেরেছে, তাই কিছুটা হলেও হতাশ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তারপরও সবকিছুকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চান, পেতে চান বিশ্বকাপে আরো বড় সাফল্য।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘হ্যাঁ, দলের এই হার অবশ্যই হতাশার। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে বল করেছি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তেমনটা করা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের শুরুটা এবং বাটলারের ব্যাটিং ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। যে কারণে পরে চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো।’
তবে নিজের সাফল্যে দারুণ খুশি সাকিব বলেন, ‘বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি, অবশ্যই ভালো লেগেছে। তবে দল জিতলে আরো ভালো লাগত।’
কার্ডিফের মাঠ ছোট বলে বাংলাদেশের বল করতে কিছুটা অসুবিধা হয়েছে বলেও মনে করেন সাকিব, ‘ওভাল অনেক বড় মাঠ, যেখানে আমাদের স্পিনাররা নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পেরেছে। তবে কার্ডিফের মাঠ ছোট বলে সে রকম সম্ভব হয়নি। অনেক সময় রক্ষণাত্মক ভাবে বল করতে হয়েছে। যে কারণে সাফল্য পাওয়ো কঠিন হয়ে যায়।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব। তা অবশ্য বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় বিশ্বকাপ শতক।
গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। অবশ্য এর আগে চারটি বিশ্বকাপে শতকের দেখা পায়নি কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান।
সে ধারাবাহিকতায় চলমান বিশ্বকাপে এসে বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় সেঞ্চুরি করলেন সাকিব। কার্ডিফে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডাউনে খেলতে নেমে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত সাকিব ১১৯ বলে ১২১ রান করেন।
বিশ্বকাপে প্রথম হলেও ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত আটটি সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব। আর এবারের বিশ্বকাপের আগের দুই ম্যাচেও দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৭৫ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৪ রান করেন তিনি।