মরগানের ছক্কার বৃষ্টি, রানবন্যায় ডুবলেন রশিদরা
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আজ বৃষ্টি হয়নি। ছিল ঝকঝকে রোদ। অথচ ঝড়ে উড়ে গেল রশিদ-নবীর আফগানিস্তান। ঝড়টা তুললেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক মরগান। তাঁকে সাহায্য করলেন বেয়ারস্টো, রুট; আর শেষদিকে মইন আলী। ওই ঝড়টা এমনই যে ৪০০ রান দেখার একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু মাত্র তিন রান দূরেই থামতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে।
৫০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান ছয় উইকেটে ৩৯৭। ইনিংসে ২৫টি ছক্কা মারে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। যার ১৭টিই মরগানের। ওয়ানডে ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার বেকর্ড এটি। ৭১ বলে ১৪৮ রান করে আউট হন মরগান।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা ধীরেসুস্থেই করে ইংল্যান্ড। বেয়ারস্টো ৯৯ বলে ৯০ রান করে আউট হন। পরে রুটের সঙ্গে জুটি গড়েন মরগান। শুরুতে মরগান দেখে শুনে খেলেন। পরে হাত খুলে মারতে থাকেন তিনি। ওল্ড ট্রাফোর্ডে নামান ছক্কার বৃষ্টি। একে একে ১৭টি ছক্কা মারেন তিনি। ১৪৮ রানে গুলবদিনের বলে আউট হন তিনি। রুট করেন ৮২ বলে ৮৮ রান।
রুট ও মরগান বিদায় নিলে বাটলার ও স্টোকসও দ্রুত বিদায় নেন। তাতে রানের গতি থামেনি। মইন আলী শেষ ঝড়টা নিয়ে এলেন । নয় বলে করেছেন ৩১; যার মধ্যে ছক্কা ছিল চারটি।
ঝড়ের বেশিরভাগটা গেল স্পিনার রশিদ খানের ওপর দিয়ে। নয় ওভারে দিয়েছেন ১১০ রান। যার মধ্যে ছক্কা ছিল ১১টি। অন্য বোলারদের ওপরও দারুণভাবে চড়াও হন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।
ইংল্যান্ড এরই মধ্যে চার ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় পেয়েছে। তাদের একমাত্র পরাজয় আসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪ রানে।
ইংল্যান্ড একাদশ : জনি বেয়ারস্টো, জেমস ভিন্স, জো রুট, এউইন মরগান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), মঈন আলী, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার ও মার্ক উড।
আফগানিস্তান একাদশ : রহমত শাহ, নুর আলী জাদরান, নাজিবুল্লাহ জাদরান, হাসমতউল্লাহ শহিদি, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবি, ইকরাম আলি খিল (উইকেটরক্ষক), গুলবাদিন নাইব (অধিনায়ক), রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও দৌলত জাদরান।