ইংলিশ পরীক্ষায় রশিদ খান পেয়েছেন ১১০!
লেগ স্পিনারদের অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মনে করেন ক্রিকেটের বিলাসিতা। তারা যেদিন বল ভালো করে সেদিন ব্যাট হাতে নাকানিচুবানি খেতে হয় প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। তার প্রমাণ অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন। কিন্তু তারা যদি বল খারাপ করে সেদিন তাদের কি পরিণতি হয় জানতে হলে দেখে নিন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে আফগান লেগি রশিদ খানের সেই বিভীষিকাময় নয় ওভার বোলিং।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নয় ওভারের স্পেলে রশিদ রান দিয়েছেন ১১০! এর আগে ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো স্পিনার এত বেশি রান খরচের রেকর্ড গড়তে পারেননি।
আইপিএলে রশিদ খানকে নিয়ে হৈ চৈ এর কমতি নেই। ভারতীয় গণমাধ্যমে রশিদ খানকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। এমনও বলা হচ্ছিল এই বিশ্বকাপে ব্যাপক নজর কাড়বেন তিনি। নজর কেড়েছেন রশিদ! তবে সেটা তাঁর নিজেরও ভালো লাগার কথা না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি রান খরচ করে সেঞ্চুরি করেন!
ওল্ড ট্রাফোর্ডে আজ ইংল্যান্ডের মরগান, বেয়ারস্টো, রুট আর মইন আলীরা ব্যাট হাতে আফগানদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছে। ৫০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ৩৯৭ রান। মাত্র তিন রানের জন্য ৪০০ রানের মাইলফলফ দেখতে পেল না এবারের বিশ্বকাপ!
আজ বল হাতে পিটুনি খেয়েছেন প্রায় সব আফগান বলার। তবে ঝড়ের বেশিরভাগটাই গেছে স্পিনার রশিদ খানের ওপর দিয়ে। ম্যাচে মোট ২৫টি ছক্কা মারে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। যার ১১টিই রশিদের বলে। রশিদ ১০০ রান দেন, ৪৯টি বলে। চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো বোলারের ওপর ব্যাটসম্যানরা এভাবে চড়াও হননি।
মরগান-বেয়ারস্টো-রুট-মইনের কাছে রশিদের বল ছিল একেবারেই নির্বিষ। রশিদকে কোনো ধরনের সমীহ করেননি ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।
একটুর জন্য ওয়ানডেতে এক স্পেলে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ডটা করতে পারেননি রশিদ। তিনি নয় ওভারে দিয়েছেন ১১০ রান। সবচেয়ে খরুচে রানের রেকর্ডটা করেছেন মাইক লুইস। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ওই পেসার দেন ১০ ওভারে ১১৩ রান। ওই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ওভারে দিয়েছেন ১১০ রান।