ইংল্যান্ডের রানের পাহাড়ে চাপা পড়ল আফগানিস্তান
চলমান বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ আফগানিস্তানের সামনে ছুড়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য তাদের সামনে লক্ষ্য ৩৯৮ রান। অনেকটা অসম্ভব লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে আফগান ব্যাটসম্যানরা সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছে হারের ব্যবধান কমাতে। তারপরও ১৫০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা।
ইংল্যান্ডের করা ৩৯৭ রানের জবাবে আফগানিস্তান করেছে ২৪৭ রান। এটি তাদের টানা পঞ্চম হার। আর ইংল্যান্ড পঞ্চম ম্যাচে চতুর্থ জয়ে আট পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেছে।
তবে এই ম্যাচে আফগানিস্তান হারলেও ব্যাটসম্যানরা কিছুটা দৃঢ়তা দেখিয়েছে। হাশমতুল্লাহ শহীদি ১০০ বলে ৭৬ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া রহমত শাহ ৪৬ ও আসগর আফগান ৪৪ রান করেন।
আদিল রশিদ ৬৬ এবং আর্চার ৫২ রানে তিনটি করে উইকেট নিয়ে আফগানদের জয়ে বড় বাধা হন।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের এই ম্যাচে ৫০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান ছয় উইকেটে ৩৯৭। ইনিংসে ২৫টি ছক্কা মারে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। যার ১৭টিই মরগানের। ওয়ানডে ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এটি। ৭১ বলে ১৪৮ রান করে আউট হন মরগান।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা ধীরেসুস্থেই করে ইংল্যান্ড। বেয়ারস্টো ৯৯ বলে ৯০ রান করে আউট হন। পরে রুটের সঙ্গে জুটি গড়েন মরগান। শুরুতে মরগান দেখে শুনে খেলেন। পরে হাত খুলে মারতে থাকেন তিনি। ওল্ড ট্রাফোর্ডে নামান ছক্কার বৃষ্টি। একে একে ১৭টি ছক্কা মারেন তিনি। ১৪৮ রানে গুলবদিনের বলে আউট হন তিনি। রুট করেন ৮২ বলে ৮৮ রান।
রুট ও মরগান বিদায় নিলে বাটলার ও স্টোকসও দ্রুত বিদায় নেন। তাতে রানের গতি থামেনি। মইন আলী শেষ ঝড়টা নিয়ে এলেন । নয় বলে করেছেন ৩১; যার মধ্যে ছক্কা ছিল চারটি।
ঝড়ের বেশিরভাগটা গেল স্পিনার রশিদ খানের ওপর দিয়ে। নয় ওভারে দিয়েছেন ১১০ রান। যার মধ্যে ছক্কা ছিল ১১টি। অন্য বোলারদের ওপরও দারুণভাবে চড়াও হন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।
ইংল্যান্ড এরই মধ্যে চার ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় পেয়েছে। তাদের একমাত্র পরাজয় আসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪ রানে।