এবার নিজেকে অন্যভাবে চেনালেন সৌম্য!
বাংলাদেশ দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। খেলে থাকেন ওপেনিংয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর হাত ধরে অনেক সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ দল। চলামন বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে সে তুলনায় বড় কোনো সাফল্য পাননি তিনি। তবে আজ বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নিজেকে অন্যভাবে চেনালেন তিনি।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৪৯তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নেমেছেন সৌম্য। এর আগে প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলের প্রয়োজনে বল করেছেন তিনি। সাফল্য পাননি বললেই চলে। গত বছর সেপ্টেম্বরে আবুধাবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। বল হাতে এটিই ছিল তাঁর একমাত্র সাফল্য।
সেই সৌম্য অস্ট্রেলিয়ার মতো দুর্দান্ত ব্যাটিং আক্রমণের সামনে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন। আট ওভার বল করে ৫৮ রান খরচায় তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি। এটি শুধু তাঁর বল হাতে সেরা সাফল্য নয়, নিজেকে অন্যভাবে চিনিয়েছেন তিনি।
কারণ এদিন বাংলাদেশের প্রায় সব বোলারই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনের সামনে অসহায় ছিলেন। বোলারদের নেওয়া চারটি উইকেটের মধ্যে তিনটি উইকেটই নিয়েছেন তিনি, বাকি একটি উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান। মাশরাফি, সাকিব, রুবেল ও মিরাজ প্রায় সব বোলারই মার খেয়েছেন।
বল হাতে সৌম্যের সাফল্যের দিনে বাংলাদেশের সামনে রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। তারা করেছে ৩৮১ রান। মাশরাফির বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ম্যাচের শুরুর দিকের ঘটনা। সাব্বির তা ধরতে পারেননি। গুনে গুনে মাশুল দিল বাংলাদেশ। সেই ওয়ার্নার থামলেন ১৬৬ রানে। ওয়ার্নারের মতো খেলেছেন খাজাও। তিনি থেমেছেন ৮৯ রানে। শেষ দিকে ম্যাক্সওয়েল তুললেন ঝড়। মাত্র ১০ বলে করেছেন ৩২ রান! এতেই রান হয়ে গেল বিশাল সংগ্রহ
নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতল অস্ট্রেলিয়াই। অ্যারন ফিঞ্চ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন। ২০ ওভার পর্যন্ত ফিঞ্চ আর ওয়ার্নারের জুটি ভাঙা গেল না। মাশরাফি-মুস্তাফিজ-সাকিব-মিরাজ নন, জুটিটা ভাঙলেন সৌম্য! ২১তম ওভারে সৌম্যর বলে রুবেলকে ক্যাচ দিলেন ফিঞ্চ। তখন অস্ট্রেলিয়ার রান এক উইকেটে ১২১।
ওয়ার্নারকে সহজে থামানো গেল না। ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন তিনি। যার মধ্যে ছিল ১৪টি চার ও পাঁচটি ছয়। খাজাকে নিয়ে ওয়ার্নার ঝড়ের বেগে রান তুললেন। ৩১৩ রানে এসে ওই জুটি ভাঙে। পরে নামেন ম্যাক্সওয়েল। শুরু করেন নতুন ঝড়। মাত্র ১০ বলে করেন ৩২ রান। যার মধ্যে ছিল তিনটি ছয় ও দুটি চারের মার। দুর্দান্ত রান আউটে ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান রুবেল।
৪৯তম ওভার শেষেই নামে বৃষ্টি। তখন মাঠে ছিলেন স্টোয়নিস ও কেরি। মাশরাফি বিন মুর্তজা দলবল নিয়ে ফিল্ডিংয়ে নামার আগে জানিয়ে দিলেন, দলে এসেছে পরিবর্তন। ইনজুরির কারণে দলে নেই সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক।
মাশরাফি আট ওভারে দিয়েছেন ৫৬ রান। মুস্তাফিজ নয় ওভারে দিয়েছেন ৬৯ রান। সাকিব ছয় ওভারে দিয়েছেন ৫০ রান। পঞ্চম ওভারে একটা সুযোগ এসেছিল ওয়ার্নারকে আউট করার। মাশরাফির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। তবে সাব্বির তা ধরতে পারেননি।