লর্ডসে যেন মুলতানের ছায়া?
বাউন্ডারিতে ফখর জামানের ক্যাচটি তালুবন্দি করে উল্লাস করেন ইমরান তাহির। তখনো কোনো উইকেট পড়েনি পাকিস্তানের। প্রথম উইকেটের পতন মনে করে উল্লাসটা ভালোই ছিল তাহিরের। কিন্তু তাতে বাঁধ সাধেন আম্পায়াররা!
লর্ডসে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান। ম্যাচের ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি মরিসের বল ডিপ স্কয়ারে তুলে মারেন ফখর জামান। কিছুটা দৌড়ে এসে তা তালুবন্দি করেন তাহির। কিন্তু বল মাটি স্পর্শ করেছে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না আম্পায়াররা। পরে থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়া হয়। রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি মাটি স্পর্শ করে। আর এতেই জীবন পান ফখর জামান।
তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বেশ অবাকই হন ইমরান তাহির। তাঁকে শান্ত করেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। এ যাত্রায় ফখর জামান রক্ষা পেলেও ২০০৩ সালে রক্ষা পাননি অলক কাপালি। সেটা সেই মুলতান টেস্টের ঘটনা। ওই টেস্টে রশিদ লতিফের কাছ থেকে রক্ষা পাননি কাপালি। ইয়াসির আলীর করা বলটি রশিদ লতিফের গ্লাভসে চলে যায়। কিন্তু তা ধরে রাখতে পারেনি। মাটিতে পড়ে গেলেও তিনি তুলে নেন। পরে সতীর্থদের নিয়ে উল্লাস করতে থাকেন।
বিষয়টি পরে স্বীকারও করেছেন রশিদ লতিফ। ২০১৬ সালে ক্রিকইনফোতে তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। রশিদ লতিফ বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি বলটি আমার হাত গড়িয়ে মাটিতে পড়ে যায়। বিষয়টি আমি আমার সিনিয়রদের বলি। তারা ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত যাওয়ার পক্ষেই রায় দেন। বিষয়টি নিয়ে আমার অনুশোচনা নেই।’