আফগানদের সামনে ২৬৩ রানের চ্যালেঞ্জ
লড়েছেন লড়াকু মুশফিক। অল্পের জন্য টানা দ্বিতীয় শতকটি পেলেন না তিনি। তাতে কী? দলের মজবুত ভিত গড়তে রেখেছেন মূল ভূমিকা। ৮৭ বলে ৮৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন মুশফিক।
শেষটা দারুণ করেছেন মোসাদ্দেক। ২৪ বলে ৩৫ করেছেন, যার মধ্যে ছিল চারটি চার। ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৬২ রান করেছে বাংলাদেশ।
আলিম দারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বিদায় নেন লিটন দাস। পরে তামিমও বিদায় নেন। সাকিব আর মুশফিক হাল ধরেন। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতাটা রেখেছেন সাকিব আল হাসান। আজও তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ঝকঝকে অর্ধশতক। তবে ইনিংসটা বড় করতে পারেননি সাকিব। মুজিবের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ৬৯ বলে ৫১ রান করে আউট হন তিনি।
মুশফিক মাথা ঠাণ্ডা রেখে খেলে গেছেন। রশিদ-মুজিবরা তাঁকে পরাস্ত করতে পারেননি। ৮৭ বলে ৮৩ রানের ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছয়ের মার। মুশফিক আউট হন ৪৯তম ওভারে। দাওলাত জাদরানের বল মারতে গিয়ে নবিকে ক্যাচ দেন তিনি।
মোসাদ্দেক শেষদিকে দারুণ একটি ইনিংস খেলেন। সময়োপযোগী ওই ইনিংসটাই তাঁর কাছ থেকে চাইছিল পুরো বাংলাদেশ। সেটাই করলেন মোসাদ্দেক। যার ওপর ভিত্তি করে ২৬২ করল বাংলাদেশ। শেষ বলে অবশ্য বোল্ড হয়ে যান তিনি।
সাকিবের পর মাঠে গেলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু আলিম দারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হলেন তিনিও। এলবিডব্লিউর রিভিউতে পুরো যাচাই না করেই তাঁকে আউট দেন আলিম দার।
২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভুল সিদ্ধান্ত দেন আলিম দার। চলতি বিশ্বকাপেও এমন কাণ্ড আবারও করলেন তিনি। ওপেনার লিটন দাসের বলটি মাটি থেকে তুলে উল্লাস করতে থাকেন হাসমতউল্লাহ শহিদি। ফিল্ড আম্পায়াররা আউট দিয়েও থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চান। রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা যায়, মাটি স্পর্শ করা বল তুলেছেন শহিদি।
থার্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেন আউট! আর ওই থার্ড আম্পায়ারই আলিম দার!
টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান। সৌম্যের পরিবর্তে তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন লিটন দাস। স্পিনার মুজিব, পেসার জাদরানের ওপর শুরুতেই চড়াও হন লিটন। ১৭ বলে ১৬ করেন, যার মধ্যে ছিল দুটি চারের মার। সেই লিটনই বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন পঞ্চম ওভারে, মুজিবের বলে।
৩৬ রান করে মোহাম্মদ নবির বলে বিদায় নেন তামিমও। নবির বলে বোল্ড হন তিনি। তামিমের পর মাঠে আসেন মুশফিক।
বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশ ছয় ম্যাচে দুটি জয়, তিনটি হার ও একটি ড্র নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে আফগানিস্তান এখনো জয়ের অপেক্ষায় আছে।