নিজের সাফল্যের রহস্য জানালেন সাকিব
তাঁর দল সেমিফাইনালে উঠতে না পারলেও ৬০৬ রান ও ১১ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে নতুন নজির গড়লেন সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ড ছাড়ার আগে তিনি জানান, টুর্নামেন্টের গোড়াতেই মনে হয়েছিল তাঁর এবার শুরু থেকেই ভালো কিছু করবেন।
প্রথম ম্যাচ থেকেই সাকিব বুঝিয়ে দেন বাংলাদেশ নিচের সারির দল হলেও কেন আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে অলরাউন্ডারদের মধ্যে সবার ওপরে থাকে তাঁর নাম।
ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বরে উঠে আসায় তাঁর আসল ব্যাটিং মেলে ধরার সুযোগ পান সাকিব। শেষ পর্যন্ত ৮৬.৫৭ গড় এবং ৯৬.০৩ স্ট্রাইক রেটসহ মোট ৬০৬ রান করেন তিনি।
কেবল রান তুলে ক্ষান্ত হননি সাকিব। ১১ উইকেটও নিয়েছেন ৩৬.২৭ গড়ে। প্রতি ওভারে ৫.৫-এর থেকেও কম রান দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ পয়েন্ট তালিকায় নিচের দিকে স্থান পেলেও ব্যক্তিগত কৃতিত্বের তালিকায় ওপরের দিকেই জ্বলজ্বল করবে সাকিবের নাম।
এ ব্যাপারে সাকিব বলেন , ‘এর আগেও আমি বিশ্বকাপে ভালো শুরু করেছি, কিন্তু গতিটা ধরে রাখতে পারিনি। কিন্তু এবার প্রথম থেকেই মনে হচ্ছিল ভালো কিছু হতে চলেছে। এবার আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম কিছুতেই মোমেন্টাম হারাব না। আমার ভাগ্য ভালো, যেই রকম ভেবেছিলাম সেই রকমই করতে পেরেছি।’
ব্যাটিং, বোলিং, দুই বিভাগেই ফর্মে থাকার কারণে সাকিবকে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে হয়েছে প্রতি ম্যাচে। ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬৩১টা ডেলিভারির মোকাবিলা করেছেন এবং বোলার হিসেবে করেছেন ৭৪ ওভার। তা সত্ত্বেও যে একটা ম্যাচেও তাঁকে বিশ্রাম নিতে হয়নি, এর কারণ ফিটনেসের ওপর কতটা জোর দেন তিনি।
নিজের ফিটনেস সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘অস্বীকার করব না, শেষ দুটি ম্যাচে মানসিকভাবে একটু অবসন্ন লাগছিল। হয়তো আমার ফিটনেস লেভেল ভালো বলেই এই ক্লান্তিটা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগেনি। সবদিকের ভারসাম্য বজায় রেখে একটা গোটা টুর্নামেন্ট খেলা সত্যি কঠিন। আমি বিশ্বাস করি ফিটনেসের কোনো বিকল্প হয় না।’