‘বুমরাহর সবকিছু মুগ্ধ হয়ে দেখি’
টেস্ট, ওয়ান-ডে, টি-টোয়েন্টি, সব ফরম্যাটে সমান সাফল্য তাঁর। ব্রেন্ডন ম্যাকালম তো তাঁকে বিশ্বসেরা বোলার আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু পরিসংখ্যানের বাইরেও বুমরাহকে নিয়ে বলার শেষ নেই।
বুমরাহর সবকিছুই আলাদা। রান-আপের কথাই ধরুন। শুরুটা আর পাঁচজনের মতোই সাদামাটা। তারপর দুটি হাত হঠাৎই সামনে ঠেলে দেন– অনেকটা ওই গাড়ি ঠেলার মতো। তারপর মাথার পাশ দিয়ে ঘুরে এসে চাবুকের মতো আছড়ে পড়ে ডান হাত। এই অভিনব অ্যাকশনের সামনে পরাভূত হয়েছেন বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যান। আর মুগ্ধ হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার ইয়ান বিশপ।
বুমরাহ সম্পর্কে বিশপ বলেন, ‘বুমরাহর সবকিছু মুগ্ধ হয়ে দেখি আমি। বুমরাহর অদ্ভুত রান-আপ, তাতে কীভাবে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার বেগে বল করে বুঝতে পারি না। তারপর ধরুন ফলো-থ্রু। বল করার ঠিক পর আমাদের ডান হাত শেষ হতো বাঁ কোমরের পাশে। বুমরাহ বল ছাড়ে একটু বাঁদিক থেকে, ফলে ওর ডান হাত নামে দুই পায়ের ফাঁকে।’
বিশ্বকাপের লিগ পর্বে ১৭ উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ, গড় ১৯। মিচেল স্টার্কের পেছনে আছেন তিনি। কিন্তু স্টার্ককে সেরা বোলার মানতে নারাজ বিশপ, ‘শুধু উইকেট দেখলে বুমরাহর এবারের অবদান বোঝা যাবে না। উইকেট না পেলেও দলকে অন্যভাবে সাহায্য করেছে ও। স্টার্ক এবার বেশি উইকেট পেলেও বুমরাহ কোনো অংশে কম নয়।’
বুমরাহর ডেথ বোলিঙের রহস্য নিয়ে এই ক্যারিবীয় পেসার বলেন, ‘ওর লেন্থ, গতি, দুটোরই বৈচিত্র্য সাংঘাতিক। আর ওর ইয়র্কার কতটা মারাত্মক তা আর বললাম না। লাসিথ মলিঙ্গা হয়তো আরো বেশি ইয়র্কার দেয়, কিন্তু মাঝেমধ্যে ফসকেও যায়। বুমরার লক্ষ্য অব্যর্থ। আর দুজনের ইয়র্কারের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। মলিঙ্গার অ্যাকশনের জন্য বল আসে অনেক নিচ থেকে, আর বুমরাহর বল আসে একদম ওপর থেকে।’