যে আক্ষেপ ধোনি-জাদেজার
ভারতের সেরা ফিনিসার বলা হয় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। কঠিন পরিস্থিতে ঠান্ডা মাথায় খেলে থাকেন তিনি। আরো একবার সেই তকমা নিজের গায়ে মাখলেন ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। পেয়েছিলেন যোগ্য সঙ্গী রবীন্দ্র জাদেজাকেও। কিন্তু আজ আর পারলেন না ধ্বংসস্তুপ থেকে ভারতকে টেনে তুলেও নিতে পারলেন না ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ফাইনালে। ঘুরে দাঁড়িয়েও ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরুতেই দ্রুত উইকেট পড়া ভারতকে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরান ধোনি- জাদেজা। ৯২ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর এই দুই ব্যাটসম্যানের ওপর ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল ভারতীয় সমর্থকরা। চাপের মুখে চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন রবীন্দ্র জাদেজা। হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান ধোনিও। সপ্তম উইকেটে ১১৬ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।
চলমান বিশ্বকাপে জাদেজা ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে ৫৯ বলে ৭৭ এবং ধোনি ৭২ বলে ৫০ রান করে দারুণভাবে আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জয়ের উল্লাসে মাতিয়ে তুলতে পারেননি তারা। আট রানের ব্যবধানে ধোনি ও জাদেজা দুইজনেই সাজঘরে ফিরে গেলে ভারত আর পারেনি ফাইনালে উঠতে।
৪৮তম ওভারে জাদেজাকে ফিরিয়ে ভারত শিবিরে ভয় জাগান বোল্ট। এরপরও ধোনি উইকেটে ছিলেন বলেই আস্থা ছিল ভারত সমর্থকদের। কিন্তু সেই আস্থা রাখতে পারলেন না তিনি। তাতে ভেঙে যায় ভারতের ফাইনাল স্বপ্ন।
১৮ রানের হার নিয়ে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয় ২ দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ঘুরে দাঁড়িয়েও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন জাদেজা-ধোনি-কোহলিরা। আর দারুণ জয় নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে নিউজিল্যান্ড।