ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের চাই ২২৪ রান
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। দলীয় ১৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ের কবলে পড়েছিল তারা। তবে তৃতীয় উইকেট জুটির দৃঢ়তায় কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বড় সংগ্রহ গড়ে তুলতে পারেনি। ৪৯ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান করে তারা।
দলীয় চার রানে অ্যারন ফিঞ্চকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তাঁকে ফেরান জফরা আর্চার। কিন্তু এই আঘাত সামলাতে না সামলাতেই আবারও ইংল্যান্ডের আঘাত। দলীয় ১০ রানে ক্রিস ওকসের শিকারে পরিণত হন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম ভরসা ডেভিড ওয়ার্নার।
এরপর অস্ট্রেলিয়া নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার আগেই আবারও ক্রিস ওকসের আঘাত। দলীয় ১৪ রানে পিটার হ্যান্ডসকম্বকে সাজঘরে ফেরান তিনি।
এর পরই স্টিভেন স্মিথ ও অ্যালেক্স ক্যারের ব্যাটিংয়ে ভর করে কিছুটা চেষ্টা করেছিল। দুজনে ১০৩ রানের জুটিও গড়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বড় কোনো সংগ্রহ গড়তে পারেনি তারা।
সাবেক অধিনায়ক স্মিথ ৮৫ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। আর অ্যালেক্স ক্যারে ৪৬ ও স্টার্ক ৪৯ রান করেন।
ওকস ২০ ও আদিল রশিদ ৫৪ রানে তিনটি করে উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে ধস নামান। আর আর্চার ৩২ রানে দুই উইকেট পান।
গতকাল বুধবার ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম সেমিফাইনালে নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে ভারতকে ১৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে গতবারের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড।
ইংল্যান্ড : এউইন মরগান (অধিনায়ক), জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলার, লিয়াম প্লানকেট, আদিল রশিদ, জো রুট, জেসন রয়, বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস, মার্ক উড ও জফরা আর্চার।
অস্ট্রেলিয়া : অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যালেক্স ক্যারে (উইকেটরক্ষক), পিটার হ্যান্ডসকম্ব, প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস ও জেসন বেহরেনডরফ।