‘এখনো কিছুই জিতিনি, কিসের এত উৎসব’
২৭ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনাল, তাও আবার চির প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে, কিন্তু ইংল্যান্ডের কোচ ট্রেভর বেলিস এখনই উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না। এখনো একটা ম্যাচ বাকি। আসল ম্যাচটাই বাকি। তাই চারদিকে যতই হৈহল্লা হোক, তা কানে তুলতে নারাজ তিনি।
লক্ষ্য থেকে একচুলও চোখ সরাচ্ছেন না বেলিস। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনো আসল কাজটাই বাকি। এখনই এসব আওয়াজে কান দিলে আমাদের চলবে কী করে?’
বিবিসিকে ইংল্যান্ড কোচ আরো বলেন, ‘এই তো সেমিফাইনালের পর সবাই আড্ডা মারছিলাম ড্রেসিংরুমে, তখন সবাই সমস্বরে বলেছে, এখনো তো আমরা কিছুই জিতিনি। তবে কিসের এত উৎসব? ওসব ফেভারিটের তকমা-টকমা নিয়ে ভাবলে আমাদের চলবে না।’
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ফেভারিট ইংল্যান্ড। কিন্তু তা সত্ত্বেও তো লিগ পর্যায়ে হোঁচট খেয়ে সেমিফাইনালের আগেই প্রায় ছিটকে যেতে বসেছিল। বাঁচা-মরার ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে আর তারপর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে অবশ্য সেমিফাইনালে শেষ পর্যন্ত পৌঁছে যায় তারা। ২০১৫ বিশ্বকাপে হতাশাজনক ফল হওয়ার পরই মর্গানের নেতৃত্বে একদিনের ক্রিকেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। দলে আমূল পরিবর্তন করে একটা নতুন মারমুখী আঙ্গিক নিয়ে আসে তারা। মর্গানের ধারণা, সেই ভঙ্গিতে খেলতে না পারার জন্যই এবারে কয়েকটা ম্যাচ হারতে হয় তাদের।
বেলিসও মনে করেন, যেভাবে খেলে তারা ইদানীং সাফল্য পেয়েছেন, ফাইনালেও সেভাবে খেলতে পারাটা খুব জরুরি, চার বছর ধরে যেভাবে খেলে আমরা এই জায়গায় পৌঁছেছি, আর একটা ম্যাচ শুধু সেভাবে খেলে যেতে হবে। পদ্ধতিটুকু অনুসরণ করে যেতে হবে, ব্যাস। তাহলে আমাদের ভালো খেলা কেউ আটকাতে পারবে না, আর প্রতিপক্ষের কাজও ততটাই কঠিন হয়ে উঠবে।’
আর শিরোপা জিততে আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড কোচ, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই, তবে সেটা অতিরিক্ত মাত্রায় যেতে দিচ্ছি না। চার বছর আগের অভিজ্ঞতার পরই আমরা ভাবতে বসি ২০১৯-এ কীভাবে জেতা যায়। ভেবে ভালো লাগছে যে সেই পরিকল্পনামাফিক খেলে আমরা প্রায় লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।’