যেখানে একাই নায়ক বেন স্টোকস
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮৬ রানেই নেই চার উইকেট। নিউজিল্যান্ড বোলারদের গতির কাছে রীতিমত ব্যাকফুটে চলে যায় ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে চরম বিপদে পড়া দলকে টেনে তোলেন বেন স্টোকস। তাকে সঙ্গ দেন জস বাটলার। পঞ্চম উইকেটে অসাধারণ এই জুটিতে আবারও ম্যাচে ফেরে স্বাগতিকরা। হাফ- সেঞ্চুরি করে বাটলার ফিরলেও বোলারদের নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন স্টোকস।একাই লড়ে ম্যাচ নিয়ে যান সুপার ওভারে। আর সুপার ওভারেও একা হাতে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়ে বিশ্বজয়ের নায়ক বনে যান এই অলরাউন্ডার।
রোববার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে বেন স্টোকসের লড়াই করা ইনিংসে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় ইংল্যান্ড। ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে এই অলরাউন্ডারের হাতে। লর্ডসে সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৫ রান তোলে ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে প্রথম ৫ বলেই ১৩ রান করে ফেলেন নিশাম। শেষ বলে ১ রান নিতে সক্ষম হন গাপটিল। ফলে টাই হয় সুপার ওভারও। কিন্তু মূল ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোয় প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
ম্যাচে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড ১৪টি চার ও ২টি ছক্কায় মোট বাউন্ডারি পায় ১৬টি। অন্যদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২টি চারের সঙ্গে ২টি ছয় মারে ইংল্যান্ড। যে কারণে সুপার ওভারের নিয়মানুযায়ী চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। অথচ ইংলিশদের বিশ্বকাপ জেতানোর নায়ক বনে যাওয়া স্টোকসের ক্যারিয়ারের প্রায় শেষই হয়ে যাচ্ছিলো। প্রতিনিয়ত নিজেকে পরিশুদ্ধ ও পরিশীলিত করে আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। জীবনের নানা খারাপ সময় কাটিয়ে সেই স্টোকস হয়ে উঠেন ইংলিশদের প্রাণ ভোমরা। যিনি কিনা চলতি বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই দলের জন্য ভূমিকা রেখে গেছেন।