আফগানিস্তানকে নিয়ে অন্যরকম ভাবনা রশিদ খানের
গত বছর এশিয়া কাপে আফগানিস্তান শুধু যে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে হারিয়েছিল তাই নয়, তারা ভারতের সঙ্গে টাই করেছিল— আর অল্পের জন্য হেরেছিল পাকিস্তানের কাছে। সে তারা বিশ্বকাপে নয়টি ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছিল। চরম ধাক্কা খেয়ে আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান বুঝছেন বিশ্বকাপের মতো আসরে বড় কিছু করতে গেলে ভালো খেলার পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য দরকার প্রস্তুতির।
সম্প্রতি ইএসপিএনক্রিকইনফোকে রশিদ বলেন, ‘এখন ধাপে ধাপে এগোনোর সময়। বিশ্বকাপে সবাইকে কাছ থেকে দেখার ফলে প্রত্যেক দলের জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে পারব। মানসিকভাবেও আরো কঠিন হতে হবে আমাদের। এখন আর আমরা সহযোগী সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে খেলছি না; বড় দলের সঙ্গে খেলতে নামলে অনেক বেশি প্রস্তুতি নিতে হয়।’
দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে আফগান অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের ফিটনেসে অনেক কমতি আছে। আরো ফিট হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে আমাদের। আশাকরি আগামী কয়েক বছরে যেকোনো দলকে হারানোর মতো সামর্থ্য হবে আমাদের। প্রতিভা বা স্কিলের তো অভাব নেই; যা আছে তাঁকে ঘষেমেজে নিলে অনেক উন্নতি সম্ভব।’
স্কিল সব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারেরই কমবেশি থাকে। পার্থক্য গড়ে দেয় মনের জোর। এ সম্পর্কে রশিদ বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলতে প্রতিভা লাগে বৈকি। তবে একবার এই স্তরে খেলা শুরু করলে মনের জোরই আসল। ছোটবেলা থেকে যদি কেউ নিজের ওপর আস্থা রাখে, বিশ্বাস করে যে সে সব করতে পারবে, আর সেই অনুযায়ী পরিশ্রম করে, তাঁকে আটকানো যায় না।’
পরের বিশ্বকাপ ২০২৩ সালে ভারতে। তার আগে প্রস্তুতি হিসেবে বড় বড় দলের বিপক্ষে ধারাবাহিকভাবে খেলতে হবে বলে মনে করেন এই তারকা স্পিনার, ‘আপাতত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি। অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে আমরা এমনিতেই যথেষ্ট ভালো খেলি। তবে ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য আমাদের আরো বেশি করে বড় দলগুলোর সঙ্গে ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে হবে। এর জন্য মুখিয়ে আছি আমরা।’
বিশ্বকাপের ঠিক আগে আফগানিস্তান তাদের টেস্ট, ওয়ান-ডে, আর টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত করেছিল যথাক্রমে রহমত শাহ, গুলবদিন নঈব আর রশিদ খানকে। তবে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর রহমত আর নঈবকে সরিয়ে এখন তিন ফরম্যাটে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রশিদকে। তাই একটিও টেস্টে নেতৃত্ব না দিয়েই অধিনায়কত্ব হারান রহমত।