টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরে যত পরিকল্পনা
আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই আসরকে সামনে রেখে এখন থেকেই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই মধ্যে চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্টকে পেস বোলিং কোচ এবং ড্যানিয়েল ভিট্টরিকে স্পিন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনেরও।
এই প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য একটি দুর্দান্ত দল গঠন করা। এই আসরের জন্য ক্রিকেটার খুঁজে বের করার দিকেই এখন নজর দেওয়া হচ্ছে। যাতে এই ফরম্যাটে উন্নতি করা যায়। এই ফরম্যাটে এখনো খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। এ জন্য আমাদের একটি ভালো দল তৈরি করতে হবে।’
নান্নু আরো বলেন, ‘খেলোয়াড় খুঁজে বের করার জন্য আমাদের ঘরোয়া লিগের দিকে আরো বেশি নজর দিতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।’
চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোয় বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘লেভেল-৩ কোচ হওয়ার সুবাদে আমি কৌশলগত দিকগুলো বেশ ভালোই জানি। তাই আমার মনে হয় এই ফরম্যাটে ভালো খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করতে পারব। আমরা এক বছর সময় পাচ্ছি। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা ভালো দল গঠন করতে পারব। এটি আসলে এটি দলবদ্ধ কাজ।’
সাফল্য পেতে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে বলেও মনে করেন সাবেক এই অধিনায়ক, ‘স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ভালো খেলোয়াড় খুঁজে বের করার জন্য কিছু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে আমাদের। বিপিএল ছাড়া আমাদের আর কোনো টুর্নামেন্ট নেই। যে কারণে খেলোয়াড় পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।’
বেশ তরুণ পেসার তুলে আনা প্রসঙ্গে নান্নু বলেন, ‘আমরা ১৫-১৬ জন তরুণ পেসার পেয়েছি। যারা ঈদের পর থেকে চম্পকা রামনায়েকের অধীনে কাজ করবে। তৃণমূল পর্যায় থেকে আরো কিছু তরুণ ক্রিকেটার খুঁজে বের করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি আমরা। আশা করছি আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভালো ফল পাব। তা ছাড়া প্রায় ৬০ জন ক্রিকেটার আমাদের হাতে রয়েছে। তাদের বিভিন্ন দলে খেলার সুযোগ করে দিয়ে দক্ষতা যাচাই করা যেতে পারে।’