বিশ্বকাপজুড়ে আবদ্ধ ছিলেন ব্যর্থতার বৃত্তে। সেই ধারাবাহিকতা চলমান শ্রীলঙ্কা সফরেও বজায় রাখলেন দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে তাঁর ব্যাটিং ব্যর্থতার চেয়ে ভক্তদের বেশি অবাক করছে আউটের ধরন!

বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরু। বোলার ছিলেন মিচেল স্টার্ক, চতুর্থ স্টাম্পে বল মেরে তামিমকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরালেন। এরপর শুধু বোলারই পাল্টেছে। কখনো মোহাম্মদ নবী, কখনো শাহিন আফ্রিদি, আবার কখনো মালিঙ্গা বা ইশুরু উদানা। কিন্তু পাল্টায়নি তামিমের আউটের ধরন। এক এক করে টানা ছয় ম্যাচে বোল্ড হয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন এই তারকা ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশি আর কোনো ব্যাটসম্যান টানা ছয় ম্যাচে এমন আউট হননি। তামিমের পর সবচেয়ে বেশি বোল্ড আউট হয়েছেন স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। টানা চারটি ম্যাচে বোল্ড আউট হন তিনি। অবশ্য সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাসারও চারবার বোল্ড আউট হন। আর টানা তিনবার করে বোল্ড আউট হন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।

গত ছয় ম্যাচে তামিমের বোল্ড হওয়ার প্রায় সবকটিই ছিল দৃষ্টিকটু। শুধু গত ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার ইয়র্কারে ভূপাতিত হয়ে উইকেট হারিয়ে ছিলেন। বাকিগুলোতে একই চিত্র। আজ সিরিজ রক্ষার ম্যাচে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ১৯ রান। ইসুরু উদানার অফ স্টাম্পের বাইরে করা বল মোকাবিলা করতে পারেননি তামিম। হয়তো টাইমিং হয়নি ঠিকমতো, ব্যাটের নিচের দিকে লেগে বল চলে যায় স্টাম্পে।

২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলছেন তামিম। এই ১২ বছরের ক্যারিয়ারে মোট ৩১ বার বোল্ড হয়েছেন তিনি। কিন্তু কখনো এমন দৃষ্টিকটু আউটের ঘটনা ঘটেনি।

স্বাভাবিকভাবে ভক্তদের প্রশ্ন জাগতেই পারে- এক জন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান টানা এতগুলো ম্যাচে কীভাবে একইভাবে উইকেট বিলিয়ে আসেন? এমন  ব্যর্থতার পেছনে কি দায়ী?  আদর্শ টেকনিক, স্বল্প আত্মবিশ্বাস নাকি প্রত্যাশার চাপ? উত্তরটা হয়তো তামিমের নিজেরও জানা নেই।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগেও খুব খারাপ সময় পার করেছেন তামিম। নিজের সঙ্গে নিজের যুদ্ধে পেরেছেনও পরিস্থিতি বদলাতে। হয়ে উঠেছেন দেশের অন্যতম ব্যাটসম্যান। কিন্তু ক্যারিয়ারের এই সময়ে এসে এমন ব্যর্থতা ভক্তদের চেয়ে বেশি পোড়াচ্ছে তাকেই। অপেক্ষা ভালো একটি ভালো ইনিংসের। একটি ভালো ইনিংসেই তামিম ফিরে পেতে পারেন তাঁর হারানো আত্মবিশ্বাস।