সাকিবেরও ডেঙ্গু জ্বর হয়েছিল!
সদ্য সমাপ্ত তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজে এমন বাজে ফলে হতাশ টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। তবে দলের এই ব্যর্থতার চেয়েও বেশি চিন্তার কারণ দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা নিয়ে। তাই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্যক্রমে অংশ নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুলে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের উদ্দেশে সাকিব বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব আছে এই শহরকে ভালো রাখার। সে জন্যই মনে হয়েছে আমারও কিছু করা উচিত। তাই এই সচেতনতামূলক কর্যক্রমে এসেছি।’
এর আগে ২০১৩ সালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন সাকিবও! এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি জানি, ডেঙ্গু কতটা কষ্টের। কারণ আমারও একবার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছিল।’
একই অনুষ্ঠানে তামিমের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে সাকিব বলেন, ‘একজন ক্রিকেটারের এমন সময় আসতেই পারে। আমার মনে হয় যে ওর জন্য যেটা দরকার, কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়া। আর নিজের দুর্বলতা নিয়ে কাজ করতে হবে । তাতে সে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে একাই টেনেছেন সাকিব। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাকিবের অনুপস্থিতি টের পেয়েছে বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচ সিরিজে স্বাগতিকদের কাছে পাত্তাই পায়নি সফরকারীরা। সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়ে দেশে ফিরেছে তামিম ইকবালের দল।
এমন বাজে ফলের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, এ সিরিজে সাকিবের না থাকা নিয়ে। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি, যখন কোনো খেলোয়াড় শারীরিক বা মানসিকভাবে ফিট না থাকেন তখন তার খেলা ঠিক না। কারণ এতে কাজটা কঠিন হয়ে যায়। আমি মনে করি পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রেও এ জিনিসটা অনেক প্রভাব ফেলে।’