বাংলাদেশ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার কোর্টনি ওয়ালশের অধ্যায় শেষ। তাঁর জায়গায় আজ থেকে রুবেল-মুস্তাফিজদের দায়িত্ব নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট। কিন্তু তার আগেই পেস আক্রমণ নিয়ে ছক সাজিয়ে ফেলেছেন বোলিং কোচ। যার মধ্যে পেসারদের লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে বল করানোয় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন নতুন বোলিং কোচ।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় পা রেখে আজ সকালে টাইগার ক্যাম্পে হাজির হন ল্যাঙ্গেভেল্ট। চলমান কন্ডিশনিং ক্যাম্পের তৃতীয় দিনে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পুরো সময়টা নতুন শিষ্যদের সঙ্গ দেন কোচ। এরপর মুখোমুখি হন সংবাদমাধ্যমের। শোনান বাংলাদেশ নিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা।

বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সামর্থ্য কিংবা প্রতিভা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সামর্থ্যের প্রকাশটা ধারাবাহিক নয়। সম্প্রতি বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে পেস বোলিং বিভাগ। বিশ্বকাপের পর শেষ লঙ্কান সফরেও পেসারদের ধারাবাহিকতা তেমন চোখে পড়েনি।

নতুন বোলিং কোচের জন্য বিষয়টি মোকাবিলা করা বেশ কঠিন। তবে ধাপে ধাপে নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী পেসারদের উন্নতি করাতে চান প্রোটিয়া কোচ। তাঁর কথায়, ‘উপমহাদেশের উইকেটগুলো স্পিন সহায়ক হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে এখানে পেস বিভাগ নিয়ে কাজ করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। নতুন বলে বল করাটাও কঠিন। বোলিংয়ের টেকনিক্যাল দিকগুলো জানতে হয়। ৫০ ওভারের ক্রিকেট বলুন আর টেস্ট ক্রিকেট, নতুন বলে বল করাটা গুরুত্বপূর্ণ। পেস বোলিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে বল করা। এগুলো নিয়েই আগে কাজ করব।’

টাইগারদের সাবেক কোচ কোর্টনি ওয়ালশের ভাষাগত সমস্যা নিয়ে অনেক কথা হয়। বিদেশি কোচ, তাই ভাষাগত সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু নতুন কোচ ল্যাঙ্গেভেল্টের মতে, শিষ্যদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি হলে ভাষা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ভাষা কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না, যখন আমার ও বোলারদের মধ্যে দারুণ একটা সম্পর্ক তৈরি হবে, তখন এটা কোনো সমস্যা নয়। আমি বিশ্বাস করি, বোলারদের সঙ্গে আন্তরিক একটা সম্পর্ক সৃষ্টি হলে তারাও আমার ভাষা বুঝবে এবং আমিও তাদের সমস্যা বুঝতে পারব।’