বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি সংবাদমাধ্যমের আগ্রহ ব্যাপক। সেটা গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় পা রেখেই টের পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। আজ সকালে মিরপুরে নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসেও অবাক প্রধান কোচ। পরে জানালেন অবাক হওয়ার কারণ। নিজ দেশে খেলাকালীন এর আগে কখনো একসঙ্গে এত সাংবাদিক দেখেননি এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ।

দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ বুধবার প্রথমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আসেন ডমিঙ্গো। হোম অব ক্রিকেটে পা রেখে ঘণ্টাখানেক শিষ্যদের সঙ্গে সময় কাটান। এরপর চলে আসেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। সাংবাদ সম্মেলনে এসেই হতবাকই হন প্রধান কোচ। অনেকটা বিস্মিত হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জীবনেও একসঙ্গে এত সাংবাদিক দেখিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বড় ম্যাচের আগে সর্বোচ্চ আট-নয়জন সাংবাদিক আসতেন। কাল বিমানবন্দরে ছিল অনেক ক্যামেরা। এই একটি জিনিস খুব অবাক করেছে।’

বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই কোচ বুঝে গেছেন ক্রিকেট নিয়ে এ দেশের মানুষের কত আগ্রহ। বিষয়টি অনুপ্রাণিত করেছে ডমিঙ্গোকে, ‘এত সাংবাদিকদের উপস্থিতি খুব আনন্দদায়ক। এ ছাড়া এখানে মাঠে গেলে বিশাল সমর্থক পাওয়া যায়। মাঠে বাঘের পোশাক পরে আসে সমর্থকরা। সবাই খুব আগ্রহী। সম্ভবত এ ব্যাপারটিই বিশ্বের এই অঞ্চলের প্রতি আমাকে আগ্রহী করেছে। আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে গেছি।’

ডমিঙ্গো প্রাথমিকভাবে দুই বছরের জন্য বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তবে তিনি স্থায়ীভাবে থাকতে চান, কোনো ছুটি চান না।

ডমিঙ্গো দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত প্রোটিয়াদের কোচ ছিলেন তিনি।

এদিকে, বিশ্বকাপের পর স্টিভ রোডসের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে বিসিবি। বিদায় করা হয় বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ ও স্পিন কোচ সুনীল যোশিকেও। তবে কয়েক দিন আগে নতুন বোলিং ও স্পিন কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। আর পেস বোলিং কোচ হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাবেক প্রোটিয়া পেসার চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্টের সঙ্গে চুক্তি সেরেছে বিসিবি।