লিচ বিশ্বাসই করতে পারছেন না!
অ্যাশেজ সিরিজে তৃতীয় টেস্টে নাটকীয় জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই জয়ে মূল নায়ক ছিলেন বেন স্টোকস। আর তাঁকে সহযোগিতা করে জ্যাক লিচও নায়ক বনে গেছেন। ম্যাচে তিনি বড় কোনো সাফল্য না পেলেও দলের প্রয়োজেন ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি।
গত রোববার হিডিংলিতে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাট হাতে লিচ যখন মাঠে নামছিলেন, তখন ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল নয় উইকেটে ২৮৬ রান। ৩৫৯ রানের লক্ষ্য পূরণ করে জয়ের জন্য তখন আরো ৭৩ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের।
অলরাউন্ডার বেন স্টোকস তখন ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন। দলকে বিজয়ী করার গুরু দায়িত্ব খুবই দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন স্টোকস। অপরাজিত ১৩৫ রান সংগ্রহের মাধ্যমে ইংল্যান্ডকে এক উইকেটে জয় এনে দেন তিনি। এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি ১-১ ম্যাচে সমতায় ফিরেছে।
১৯৮১ সালেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডকে এক উইকেটে জয় এনে দিয়েছিলেন ইয়ান বোথাম। এ সময় তাঁকে শেষ উইকেটে সমর্থন জুগিয়েছিলেন গ্রাহাম ডিলে। ২০০৫ সালে অপর প্রান্ত থেকে অ্যাশলে গিলের সহযোগিতা না পেলে দলকে অ্যাশেজ শিরোপা এনে দিতে পারতেন না কেভিন পিটারসেন। একইভাবে লিচ যদি সহায়তা করতে না পারতেন তাহলে স্টোকসের পক্ষে সম্ভব হতো না ম্যাচ জেতানো। শেষ উইকেট জুটিতে তাঁরা সংগ্রহ করেন ৭৬ রান।
স্টোকস সাবলিল ভাবে ব্যাট চালালেও ওই জুটিতে লিচের ভূমিকাও কম ছিল না। ১৭ বল মোকাবিলায় অপরাজিত থেকে ‘অমূল্য’ একটি রানও সংগ্রহ করেছেন। গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নেমে এক ঘণ্টা ক্রিজে টিকে ছিলেন লিচ। সংগ্রহ করেন ৯২ রান।
ম্যাচে সেদিন জয় থেকে যখন স্বাগতিকরা মাত্র দুই রান দূরে তখন রান সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে অনেকটাই আউট হয়ে গিয়েছিলেন লিচ। যদিও নাথান লিয়ঁর ব্যর্থতার সুযোগে ফের নিজ অবস্থানে ফিরতে পেরেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য এক রান নিয়ে ম্যাচকে সমতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন লিচ। এরপর পেসার প্যাট কামিন্সের বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন স্টোকস।
ম্যাচে দলের সাফল্য নিয়ে লিচ বলেন, ‘এমন একটি সাফল্যের অংশ হতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। আমি বিশ্বাসই করতে পারছিনা ম্যাচে আমরা জয় পেয়েছি। এটা আমার দলের জন্য, পুরো দেশের অনেক আনন্দের। ভালোলাগার তো বটেই।’