‘দুনিয়াতে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। দেখা যাক না কী হয়। ওপরের বৃষ্টি, সেটাও আমাদের বাঁচাতে পারে’— চতুর্থ দিন শেষে হাসির ছলে এভাবেই বলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের অধিনায়কের সেই আশা পূরণ হলো না। বৃষ্টিও রক্ষা করতে পারেনি বাংলাদেশকে।  আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ২২৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিকরা।

তাই লজ্জার এক অধ্যায় যোগ হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের নামের পাশে। টেস্ট ক্রিকেটে নবীন সদস্য দেশ আফগানিস্তানের কাছে হারে। যারা এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি টেস্ট খেলেছে, তাদের কাছেই কি না হেরেছে ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে খেলা বাংলাদেশ। 

আজ সোমবার চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিন দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে প্রথম দুই সেশন ভেসে গেছে। সারা দিন অপেক্ষার পর দিনের শেষ ভাগে আবার খেলা শুরু হয়। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে শুরু হাওয়ার পর প্রথম বলেই সাকিব আল হাসান আউট হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন।

আফগানিস্তানের দেওয়া ৩৯৮ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ছয় উইকেটে ১৩৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করে বাংলাদেশ। ২৬২ রানে পিছিয়ে থেকে শুরু করে পঞ্চম দিনের খেলা। মাঠে নেমে ১৩ বল মোকাবিলা করে সাত করতেই আবার বৃষ্টি শুরু হয়। কয়েক দফা বৃষ্টির পর বিকেলের শেষ ভাগে খেলা শুরু হয়।  ১৯ ওভার টিকে থাকার পরীক্ষাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। ১৫.১ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে হারের লজ্জা পায় তারা।

চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটে-বলের দারুণ পারফরম্যান্স দেখায় আফগানিস্তান। সফরকারীদের জয়ের উল্লাসে বৃষ্টিও বাধা হতে পারেনি।

আজ বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টি পুরোপুরি থেমে যায়। মাঠ শুকানোর কাজও শুরু করা হয়। মাঠ পর্যবেক্ষণ করেন রিজার্ভ আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা। তখনই আবার বৃষ্টি শুরু হয়। যার কারণে আবারও উইকেট কাভারে ঢেকে রাখা হয়।

এরআগে প্রথম ইনিংসে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রহমত শাহের সেঞ্চুরিতে ৩৪২ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। বিপরীতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২০৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৩৯৮ রানের টার্গেট নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে সাকিব আল হাসানের দল।