কী নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন সাকিব-রশিদ?
ইনিংসের পঞ্চম ওভারের খেলা চলছিল তখন। বোলিংয়ে আফগান স্পিনার মুজিবুর রহমান আর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এ সময়ই হঠাৎ বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সাকিব ও রশিদ খান, যা নিয়ে ম্যাচে খানিকটা উত্তেজনাও ছড়ায়।
রশিদের সঙ্গে কী নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছিল? ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘তেমন কিছু হয়নি। জানি না, কী বলব।’
আর আফগান স্পিনার মুজিবুর রহমান এ সম্পর্কে বলেন, ‘দর্শক তখন গ্যালারিতে মোবাইলের আলো নেভাচ্ছিল আর জ্বালাচ্ছিল, রশিদ সেটা নিয়েই জিজ্ঞেস করছিলেন আম্পায়ারকে। এ ছাড়া তেমন কিছু হয়নি।’
তবে এর প্রভাব যে সাকিবের খেলায় পড়েছিল, সেটা ম্যাচেই বোঝা যায়। রশিদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার অল্প কিছুক্ষণ পরই বাংলাদেশ অধিনায়ক সাজঘরে ফেরেন। মুজিবের বলে মিডঅনে রশিদেরই হাতে ক্যাচ দিলেন সাকিব।
হয়তো সে সময় কথাকাটাকাটির কারণে সাকিব মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। তাই তিনি দ্রুত আউট হয়ে যান। ক্যাচ ধরে রশিদের উচ্ছ্বাসে বোঝা যায়, সাকিবকে আউট করে তাঁরা কতটা আনন্দিত ছিলেন।
পরে অবশ্য বাংলাদেশ সে ম্যাচে বাজেভাবে হেরেছে। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে ১৩৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের দেওয়া ১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন লিটন কুমার দাস। টিকতে পারেননি পজিশন পাল্টে ওপেনিংয়ে নামা মুশফিকুর রহিমও। দ্বিতীয় ওভারে ৫ রানে বিদায় নেন তিনি। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ সাকিব আল হাসান। ১৩ বল মোকাবিলা করে ১৫ রানে বিদায় নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
দ্রুত চার উইকেট হারানোর পর সাব্বির রহমান ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু তাঁদের প্রতিরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দারুণ এক স্লোয়ারে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙেন গুলবাদিন নায়েব। ফেরার আগে ৫ বাউন্ডারিতে ৩৯ বলে ৪৪ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
মাহমুদুল্লাউহর পর ফিরে গেলেন সাব্বির রহমানও। ডানহাতি এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান মুজিবুর রহমান। ফেরার আগে সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।
সপ্তম উইকেটে মোসাদ্দেক-আফিফ জুটিও বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারেনি। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত আফিফ এই ম্যাচে করেন ১৪ বলে ১৬ রান। একে একে মূল ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১৩৯ রানে গিয়ে থামে সাকিব আল হাসানের দল।
আফগানিস্তানের পক্ষে বল হাতে চার ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মুজিবুর রহমান। ২৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন নায়েব।