ক্লাবগুলোকে মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনতে চান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স, ওয়ারীর ক্লাবের মতো দলগুলো ঢাকার মাঠ কাঁপিয়েছে। এখন এই ক্লাবগুলোতে জুয়ার টাকায় জৌলুশ বেড়েছে। ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসার প্রমাণ পাওয়ায় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এসব ক্লাবকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চান বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জাহিদ আহসান রাসেল জানিয়েছেন, ক্লাবগুলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনেই থাকা উচিত।
ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা থাকায় হাতাশা প্রকাশ করে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা হচ্ছে—এটা সত্যিই দুঃখজনক। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অধীনে নয় বলে ক্লাবগেুলোর ওপর নজরদারি করার সুযোগ নেই আমাদের। তবে সময় এসেছে আইন পরিবর্তনের।’
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
বিষয়টিতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেও মনে করেন জাহিদ আহসান রাসেল, ‘বেশিরভাগ ক্লাব লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় আমাদের নজরদারি করার এখতিয়ার নেই। তবে তাতে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।’
এদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে বিভিন্ন ফেডারেশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। সভায় ৮৯টি ইভেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরমধ্যে ৩৯টি আন্তর্জাতিক, বাকিগুলো জাতীয়। এ জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৩০৬ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় তহবিল ও স্পন্সর থেকে তা ব্যয় করা হবে।