ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল)  ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন সাকিব আল হাসান। প্রথম দুই ম্যাচের পর তৃতীয় ম্যাচেও ঝলমলে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। আজ বৃহস্পতিবার ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। আর দলের টানা জয়ে দারুণ বোলিংয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন সাকিব।

এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে জয় তুলে নেয় বার্বাডোজ। বল হাতে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। তবে ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি বাংলাদেশি তারকা। ১৪ বলে ১৩ রান করে নিশামের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি।

এই জয়ের মাধ্যমে ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ পর্ব শেষ করলো বার্বাডোজ। আগের ম্যাচে সেন্ট লুসিয়া জুকসকে হারিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করেছিল দলটি। সেই ম্যাচেও ব্যাট ও বল হাতে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব।

সেন্ট লুসিয়া জুকসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো করতে না পারলেও বেশ নিয়ন্ত্রিত বল করেছেন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে সাকিবের বার্বাডোজ। প্রথম ওভারেই ওপেনার অ্যালেক্স হেলস সাজঘরে ফেরেন। তিন নম্বরে নেমে সাকিব মোটামুটি সংগ্রহ গড়েন, ২১ বলে ২২ রান করেন। যাতে দুটি চারের মার ছিল। এ ছাড়া চার্লস ৩৬ বলে ৪৭ এবং জাস্টিন গ্রিবস ২৮ বলে ২৭ করেন। যাতে বার্বাডোজ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান করে।

ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো করতে না পারলেও বল হাতে প্রথম থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সাকিবের। প্রথম ওভারে তিনি খরচ করেন মাত্র ৩ রান। দ্বিতীয় ওভারে ১২ রান। বাকি দুই ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান কলিন ইনগ্রামের উইকেট তুলে নেন। চার ওভার বল করে মাত্র ২০ রান খরচ করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আর উইকেট নিয়েছেন একটি।

সাকিবের এই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে তাঁর দুই সতীর্থ হ্যারি গার্নি ও হেইডেন ওয়ালশ ভালো সাফল্য পেয়েছেন। তাই সেন্ট লুসিয়ারকে ১১৭ রানেই ইনিংস গুটিয়ে দেয় তারা।

আগের ম্যাচে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে ছিলেন উজ্জ্বল। ২৫ বলে করেছিলেন ৩৮ রান। আর বল হাতে ৪ ওভারে এক মেডেন দিয়ে ১৪ রানে এক উইকেট নিয়েছিলেন।