পেস বোলারদের নিয়ে চিন্তিত নির্বাচকরা!
দরজায় কড়া নাড়ছে ভারত সফর। সফরের দল প্রায় চূড়ান্ত। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৮ অক্টোবর আসন্ন সফরের জন্য দল ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে তার আগে নির্বাচকদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে পেস বোলারদের চোট। এমনিতেই বাংলাদেশের বেশি গতিসম্পন্ন বোলার নেই। এরমধ্যে পেসারদের ঘনঘন চোটে পড়া ভালোভাবেই ভোগাচ্ছে পুরো বাংলাদেশ শিবিরকে।
আজ মঙ্গলবার শেষ বিকেলের দিকে মিরপুর শেরেবাংলায় আসেন বিসিবির দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার। এবার আর প্রাথমিক দল নয়, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুই সিরিজের জন্যই একেবারে ১৪-১৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করবে বিসিবি। যার কারণে শেষ মুহূর্তে দল গঠন নিয়েই নির্বাচকদের এত ব্যস্ততা।
দুই নির্বাচকের আলোচনা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নিজেরদের চিন্তার কথা আড়াল করতে পারলেন না প্রধান নির্বাচক, ‘ছয় মাস ধরে আমরা পেস বোলারদের নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কায় আছি। কারণ এখন এমন একটি অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে অনেক খেলোয়াড় ইনজুরিতে। যদি ১০ জনের একটি তালিকা করি, তাহলে দেখা যাবে পাঁচজনই ইনজুরিতে পড়ে আছে। এইচপিতে অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে, তারাও ইনজুরিতে পড়েছে। এটি আমাদের খুব ভোগাচ্ছে।’
ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ ভাঙার মতো শক্ত বোলিং বিভাগ বাংলাদেশের নেই। যারা আছেন তাদের মোটামুটি চোট সমস্যার মধ্যে কাটছে। এরমাঝে ফিটনেস সমস্যাও বড় একটি ইস্যু। ফিটনেসের সমস্যার কারণেই জাতীয় লিগে পেসার মোস্তাফিজকে নিয়ে এত সতর্কতা। চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে পারেননি তাসকিন আহমেদও। টেস্ট খেলার ফিটনেস নেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনেরও।
ফিটনেস সমস্যার সমাধান কোথায়? প্রধান নির্বাচকের উত্তর, ‘আমাদের পেস বোলারদের নিয়ে সবসময় একটি প্রশ্ন আছে যে ফিটনেস নেই। এখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে আমরা যেভাবে ফিটনেসের জন্য গুরুত্ব দিচ্ছি ,এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এর ফলাফল অবশ্যই পাওয়া যাবে। ফিটনেস না থাকলে দুই ইনিংসে বল করা আসলেই অনেক কঠিন। আমি মনে করি, আমাদের বোলারদের সে সক্ষমতা রয়েছে এবং আমাদের কোচও কাজ করছেন। সামনে প্রস্তুতির যে কর্মসূচি রয়েছে, সেখানে কাজ করা হবে। আশা করি আমাদের বোলাররা এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে ভারত সফরে ভালো করতে পারবে।’