দর্শকের ভালোবাসায় উচ্ছ্বসিত সাদ
চার বছর আগে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে সেই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে গোলের দেখা পান সাদ উদ্দিন। চার বছর পর আবারও ভারত শিবিরকে নাড়িয়ে দেওয়ার নায়ক সাদ। তবে প্রেক্ষাপট ও মঞ্চ দুটিই ভিন্ন। সেবার বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলা সাদ এখন খেলছেন জাতীয় দলের হয়ে। মঞ্চটাও এবার আরো বড়—বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ।
গতকাল মঙ্গলবার ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে সাদের একমাত্র গোলেই স্তব্ধ হয়ে পড়ে কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়াম। লাল-সবুজদের সাফল্য নিয়ে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে গোটা বাংলাদেশ। দর্শকের এত সাড়া পেয়ে উচ্ছ্বসিত সাদ নিজেও। এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে দর্শকের জন্য ভালোবাসার বার্তা দিলেন এই রাইট উইঙ্গার।
আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হচ্ছে বাংলাদেশ দল। তার আগে দর্শকের উদ্দেশে মুঠোফোনে এনটিভি অনলাইনকে সাদ বলেন, ‘আমরা বুঝেছি বাংলাদেশি দর্শক এখনো ফুটবলকে অনেক ভালোবাসে। তারা আমাদের নিয়ে খুব আনন্দিত। এটা আমাদের জন্য অনেক প্রাপ্তির, অনেক আনন্দের। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, সবার জন্য অনেক ভালোবাসা। আশা করি, আগামী দিনগুলোতেও আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। এই সাফল্য সবার জন্য।’
দীর্ঘ ৩৪ বছর পর আরেকটি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ দেখল কলকাতা। অনেকের কাছে লড়াইটা দুই বাংলার। এপার বাংলার সঙ্গে ওপার বাংলার। আগ্রহের তুঙ্গে ছিল দুই প্রতিবেশী দেশের এ লড়াই। ম্যাচের একদিন আগেই টিকেট ‘সোল্ড আউট’। ভারতীয় দর্শকে যুবভারতী স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরা। কিন্তু ৪২ মিনিটে গোল করে পুরো স্টেডিয়ামকে নীরব করে দেন সাদ উদ্দিন। পুরো যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন যখন হারের শঙ্কায় কাঁপছে, তখন বেশ উপভোগই করেছিলেন সাদ।
‘প্রথমবার এত মানুষের সামনে খেলা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে রোমাঞ্চ কাজ করেছিল। কিন্তু একটুও ভয় লাগেনি, বরং আমি উপভোগ করেছি। গোল করার পর আরো উপভোগ করেছি,’ বলেন সাদ।
ম্যাচের ৮৮ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ বাংলাদেশেরই ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভারতের গোলে জয় হাতছাড়া হয় সফরকারীদের। শেষের কয়েক মিনিটের আক্ষেপে পুড়ছে বাংলাদেশি সমর্থকরা। আক্ষেপ পিছু ছাড়ছে না সাদ উদ্দিনেরও; বললেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আত্মবিশ্বাস ছিল এগিয়ে থেকে শেষ করতে পারব। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে হলো না। স্বাভাবিকভাবে আক্ষেপ হচ্ছে।’
তবে ভারতের বিপক্ষে ফলাফল সামনের দিকে প্রেরণা জোগাবে বলে আশা করেন সাদ।
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে এই ম্যাচে আমাদের আধিপত্য বেশি ছিল। আমার মনে হয়, এই ম্যাচের ফলাফল সামনে দিকে আমাদের প্রেরণা জোগাবে। ওমানের বিপক্ষে ম্যাচেও এই আত্মবিশ্বাস কাজে দেবে।’