ডি মারিয়ার জোড়া গোলে পিএসজির দারুণ জয়
ডি মারিয়ার জোড়া গোলে এবং ইনজুরি থেকে ফেরা এমবাপ্পে ও ইকার্দির গোলে লিগ ওয়ানের ম্যাচে নিসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই। এই জয়ে পয়েন্ট এগিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষেই থাকল প্যারিসের জায়ান্টরা।
ইনজুরিতে পড়ায় পিএসজির হয়ে মাঠে ছিলেন না নেইমার ও ইদ্রিসা গুয়ে। তবে এমবাপ্পে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। দলে আরো ছিলেন ফিট হয়ে ফিরে আসা আরেক তারকা এডিনসন কাভানি।
ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ থমাস টাচেল বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতেই কয়েকটি কঠিন ম্যাচ খেলার পর আবারও জয় দিয়ে বিরতি থেকে ফেরাটা সত্যিই দলকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। কালকের ম্যাচের প্রথমার্ধে আমরা দারুণ খেলেছি। ম্যাচটি নিয়ন্ত্রণের অনেক সুযোগ আমাদের সামনে ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আমরা কিছুটা হলেও ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলাম।’
ম্যাচের প্রথম কয়েক মিনিট কিমপেমবে ও আব্দু ডিয়ালোর দুটি শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক ওয়াল্টার বেনিটেজ। ১৫ মিনিটে আর্জেন্টাইন সতীর্থ ইকার্দির পাস থেকে ডি মারিয়া গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এ বছর ডি মারিয়ার থেকে ফ্রান্সে গোলের দিক থেকে শুধু এমবাপ্পে এগিয়ে আছেন। ২১ মিনিটে ডি মারিয়া ব্যবধান দ্বিগুণ করলে পিএসজি বড় জয়ের সুবাতাস পেতে থাকে।
দ্বিতীয়ার্ধে অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার পরিবর্তে পিএসজির জার্সি গায়ে মাঠে নামেন মারকুইনহোস। মাঠে নেমেই কর্নার থেকে তার হেড ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। কিন্তু এই ব্রাজিলিয়ানের ভুলে ৬৭ মিনিটে নিসের হয়ে ইগনাটিয়াস গানাগো এক গোল পরিশোধ করতে সমর্থ হয়। তবে ৭৪ ও ৭৭ মিনিটে ওয়াইলান সিপ্রিয়েন ও ক্রিস্টোফার হেরেলার দুই লাল কার্ডে প্যাট্রিক ভিয়েরার দলের সব আশা শেষ হয়ে যায়। দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারণে সিপ্রিয়েন ও লিওনার্দো পারেডেসকে থাপ্পড় মারার অপরাধে লাল কার্ড দেখে মাঠ ত্যাগ করেছেন হেরেলে। এই ঘটনাটি অবশ্য ভিএআরের সহযোগিতায় নিশ্চিত হয়েই রেফারি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আগস্টের পর থেকে মাত্র দুটি ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন এমবাপ্পে। গতকালও নয়জনের দলের বিপক্ষে ম্যাচ শেষের সাত মিনিট আগে টাচেল এমবাপ্পেকে মাঠে নামান। আর তাতেই সফল হয়েছেন পিএসজি বস। ৮৮ মিনিটে নিজে এক গোল করার পর ইকার্দিকে দিয়ে ইনজুরি টাইমে শেষ গোলটি করিয়েছেন এই ফ্রেঞ্চ তরুণ। আগস্টের পর এটি এমবাপ্পের প্রথম গোল।