যে কারণে এত ক্ষেপেছেন স্যামিরা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কেউ গোনায় ধরেনি। ফেভারিটের তালিকায় কোনোভাবেই ছিলেন না ড্যারেন স্যামি-ক্রিস গেইলরা। কিন্তু এখন সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজই দাঁড়িয়ে আছে শিরোপাজয়ের দ্বারপ্রান্তে। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারাতে পারলেই দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ের অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করতে পারবেন উইন্ডিজ ক্রিকেটাররা। কীভাবে এত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন গেইল-স্যামিরা? কী আছে তাঁদের এই দুর্দান্ত সাফল্যের পেছনে?
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক স্যামি জানিয়েছেন, সবকিছুর পেছনে আছে একটি লেখা। সেখানে এমন একটি মন্তব্য ছিল, যা দারুণভাবে ক্ষেপিয়ে দিয়েছিল ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের। সবাই মুখিয়ে ছিলেন মাঠে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে সেই লেখার যুৎসই জবাব দেওয়ার জন্য।
ঠিক এক মাস আগে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে একটি কলাম লিখেছিলেন ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাস। পুরো লেখাতেই ছিল অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্বাগতিক ভারতের প্রশংসা। লেখাটার মূল বক্তব্য ছিল, ‘ভারতই ফেভারিট। তবে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।’ বড়সড় সেই লেখাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রসঙ্গে ছিল মাত্র একটি লাইন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি আছে। তবে আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা তাদের সঙ্গী হতে পারে।’
নিকোলাসের এই লেখাটাই ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়েছে ক্যারিবিয়ান শিবিরে। শিরোপাজয়ের অন্তিম লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে উইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি বলেছেন, ‘কোনো মানুষের বুদ্ধি নেই; এটা কেউ কীভাবে বলতে পারে? জীবজন্তুদেরও বুদ্ধি থাকে। আমরা কোনো বস্তু নই। আর এই মন্তব্যটাই আমাদের ক্ষেপিয়ে দিয়েছিল।’
আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা ক্ষেপে গেলে কী পরিণতি হয়, তা ভালোমতোই টের পেয়েছে স্বাগতিক ভারত। সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছে টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট ও স্বাগতিক ভারতকে। এবার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারের স্বাদ দিতে পারলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ মেতে উঠতে পারবে শিরোপাজয়ের উল্লাসে।