লেক্সাসের হোভারবোর্ড
মনে আছে, ব্যাক টু দ্য ফিউচার ছবির মার্টির কথা? টাইমমেশিনে চড়ে যে কি না অতীত থেকে ২০১৫ সালে এসে পৌঁছেছিল! এসেই দেখা পেয়েছিল আশ্চর্য হোভারবোর্ডের। যেটাতে চেপে সে যাত্রায় শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল মার্টি। মাথা চুলকিয়ে ভাবতে পারেন, ২০১৫ সাল তো এলো, তবে সে হোভারবোর্ডের দেখা মেলে না কেন? আপনার ভাবনার অবসান করে সত্যিকারের হোভারবোর্ড আনছে মোটরগাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান লেক্সাস! এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টপ গিয়ার।
লেক্সাস তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে ৩৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করেছে। এখানে দেখা যাচ্ছে শূন্যে ভাসতে থাকা একটি হোভারবোর্ড। এই হোভারবোর্ডের জন্য একটা নামও ঠিক করেছে ফেলেছে ‘লেক্সাস- স্লাইড’! তবে শূন্যে ভাসতে থাকা পর্যন্তই দেখা গেছে। সেটি নিয়ে ভেসে ভেসে কয়েক চক্কর দিতে দেখা যায়নি কাউকে।
তবে স্লাইডকে নিয়ে সন্দেহ না করারই পরামর্শ দিচ্ছে লেক্সাস। ভিডিও শিরোনামেই বলা আছে, ‘সত্যিকারের এবং নির্ভরযোগ্য হোভারবোর্ড বানিয়েছে লেক্সাস’।
হোভারবোর্ডে কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানায়নি কোম্পানিটি। তবে প্রযুক্তিপ্রেমীদের মাঝে এরই মাঝে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে গেছে। প্রায় সবার মতেই চুম্বক শক্তিতে ভর করেই হোভারবোর্ড আলোর মুখ দেখেছে।
আর এই চুম্বককে শীতল করার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে নাইট্রোজেন। ভিডিওতে এই নাইট্রোজেনই হোভারবোর্ডের পাশে ধোঁয়ার সৃষ্টি করছে বলে সবার ধারণা। তবে এই ধারণা যদি ঠিক হয়ে থাকে তবে বিশেষভাবে নির্মিত ট্র্যাকেই শুধু চালানো যাবে লেক্সাস স্লাইড।
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটানোর জন্য লেক্সাসের পরবর্তী ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে লেক্সাসের যে বড় একটি মার্কেটিং প্রমোশন হয়ে যাচ্ছে এক স্লাইড দিয়েই, সে ব্যাপারে সবাই নিশ্চিত।