দেশের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য শুরু হয়েছে ‘টেকশহর ডটকম স্মার্টফোন অ্যান্ড ট্যাব এক্সপো ২০১৮’।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই মেলা শুরু হয়েছে। মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি  ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার স্যাংওয়ান ইউন, ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  (সিইও) রেজওয়ানুল হক, শাওমি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) দেওয়ান কানন, আমরা কোম্পানিজের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফারহাদ আহমেদ, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের উপপরিচালক জিয়া উদ্দীন, এলজি মোবাইল বাংলাদেশের পরিবেশক প্রতিষ্ঠান মেট্রোসেম টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহিদুল্লাহ, অপ্পো বাংলাদেশের বিপণন পরিচালক  ব্রুস লি, এডিসন গ্রুপের বিপণনের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আসাদুজ্জামান এবং এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছি। ইন্টারনেট ব্যবহারের পাশাপাশি বাড়ছে দেশে ট্যাব ও স্মার্টফোন ব্যবহার। সব মিলিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, পৃথিবীর কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে পেছনে নেই। এভাবে এগিয়ে যেতে থাকলে ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো।’

মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, ‘আগামী বছর থেকে বেশি বেশি স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা দেশের বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও আয়োজন করা হোক। সেখানেও সবাই স্মার্টফোন ও ট্যাব কিনতে যাবে- এটাই আশা। দেশের মানুষের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছালে কি হতে পারে সেটা আমরা গত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে দেখেছি। এ ছাড়া দেশি মোবাইল ব্র্যান্ডগুলো ধীরে ধীরে উঠে আসছে। কেউ ফ্যাক্টরি করছে আবার অনেকে চেষ্টা করছে। দেশি মোবাইল ফোনসেট কোম্পানি ব্র্যান্ড ভালো করছে এটাই প্রত্যাশা।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এক সময় অনুষ্ঠানগুলোতে সব বিদেশি মোবাইল ব্র্যান্ড থাকত, কিন্তু এখন দেশি ব্র্যান্ডগুলোও পাওয়া যায়, এটাই আমাদের অর্জন। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। স্মার্টফোন ও ট্যাব ইন্টারনেটের সঙ্গে জড়িত। যত ব্যবহার বাড়বে তত ফোনের ব্যবহারকারী বাড়বে। আর আমি মনে করি, ডিজিটাল এই প্রযুক্তিপণ্য মানে ট্যাব ও স্মার্ট শিক্ষাগ্রহণের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত শিক্ষার হার বাড়বে, তত স্মার্টফোন ও ট্যাবের ব্যবহার বাড়বে।’

দেশে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটার নিয়ে এটিই সবচেয়ে বড় আয়োজন। অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এক্সপো মেকারের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট নিয়ে এটি নবম আয়োজন।