ই-বাইক উৎপাদনে কাজ করবে আইডিয়া প্রকল্পের স্টার্টআপ স্কুট এবং ওয়ালটন
উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা বিষয়ক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণসহ বাংলাদেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতি সমৃদ্ধিকরণের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি এর সঠিক নির্দেশনা ও পরামর্শে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) প্রকল্প। ২০১৬ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে এ পর্যন্ত ৩৮৫টি সম্ভাবনাময় স্টার্টআপকে প্রি-সিড পর্যায়ে ১০ লক্ষ টাকা করে অনুদান প্রদানের অনুমোদন করেছে আইডিয়া প্রকল্প। এরই মধ্যে বেশ কিছু স্টার্টআপ ভালো করছে যা অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মনে করছেন আইডিয়া কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে "স্কুট লিমিটেড (Skoot Ltd.)" অন্যতম একটি সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ।
পরিবেশ বান্ধব এবং উন্নত প্রযুক্তির ই-বাইক উৎপাদন করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আইডিয়া প্রকল্পের পোর্টফোলিও স্টার্টআপ “স্কুট”। প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালে আইডিয়া প্রকল্প থেকে প্রি-সিড পর্যায়ে অনুদান পায়।
যৌথভাবে ই-বাইক তৈরির লক্ষ্যে স্কুট এবং ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত বৃহস্পতিবার (১৩জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায় অবস্থিত ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর কর্পোরেট হেড অফিসে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। আইডিয়া প্রকল্পের স্টার্টআপ স্কুট এবং ওয়ালটন এর মধ্যকার এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন স্কুট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী রিদওয়ান আহমেদ এবং ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর চিফ বিজনেস অফিসার মো: তৌহিদুর রহমান।
এ সময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্কুট এর পরিচালক সিহাব খান ও পার্থ রয় এবং ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর হেড অব মার্কেটিং মো: তৌফিক ইমাম, ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অব সেলস মো: ফুয়াদ রহমান ও ডেপুটি ডিরেক্টর- ইবাইক কায়কোবাদ সিদ্দিকি -সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
এমওইউ অনুযায়ী শীঘ্রই স্কুট এবং ওয়ালটন, বাংলাদেশেই পরিবেশ বান্ধব এবং উন্নত প্রযুক্তির ই-বাইক উৎপাদন করবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠান দুইটির লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের জন্য বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা উন্নত করার পাশাপাশি উচ্চ-মানের ও উন্নত পণ্য তৈরি করা। এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উভয় কোম্পানিই ই-বাইক শিল্পের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারবে বলে প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠান দুইটি।
অন্যান্য স্টার্টআপদের পাশাপাশি আইডিয়া প্রকল্পের পোর্টফোলিও স্টার্টআপ হিসেবে স্কুট অল্প সময়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আইডিয়া প্রকল্প কর্তৃক অনুদান প্রদান ছাড়াও স্টার্টআপদের প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়মিত মেন্টরিং, ট্রেইনিং ও নেটওয়ার্কিং এর পাশাপাশি এবং বিনামূল্যে কো-ওয়ার্কিং স্পেস ব্যবহারের সুবিধাসমূহ প্রদান করে থাকে। এতে স্টার্টআপদের দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যবসায় ক্ষেত্রে উন্নয়ন, প্রচার ও প্রসারেও যথেষ্ট ভুমিকা রাখছে বলে জানান আইডিয়া প্রকল্পের কমিউনিকেশন প্রধান ও পরামর্শক সোহাগ চন্দ্র দাস।