ঘোরাঘুরি
ঘুরে আসুন পদ্ম বিল থেকে
এলাকা জুড়ে গোলাপি রং এর পদ্ম দেখলে মন ও জুড়িয়ে যায়। চোখ যত দূর যায় শুধু পদ্ম আর পদ্ম। বর্ষাকালে যে কটি ফুল প্রকৃতির শোভাবৃদ্ধি করে তার মধ্যে অন্যতম "পদ্ম"। আর এই পদ্ম ফুল দেখতে হলে আপনেকে যেতে হবে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের মুড়ারআব্দা গ্রামে।
যা দেখবেন
গোলাপি রঙ্গের মাখামাখি দূর থেকেই চোখে পড়বে। কাছে গেলে ধীরে ধীরে সবুজের পটভূমিতে গোলাপি রঙ আরো গাঢ় হয়ে ধরা দেবে। চোখ জুড়িয়ে দেবে পদ্ম এর বাহারি সৌন্দর্য। আগাছা আর লতাগুল্মে ভরা বিলের পানিতে ফুটে আছে হাজার হাজার পদ্ম। সূর্যের সোনালি আভা পদ্ম পাতার ফাঁকে ফাঁকে পানিতে প্রতিফলিত হয়ে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বিলের সৌন্দর্য। নৌকা কিংবা হাঁটুপানি মাড়িয়ে বিলের ভেতর ঢুকলে মনে হবে বাতাসের তালে তালে এপাশ-ওপাশ দুলতে দুলতে হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে পদ্মরা । সে হাসিতে বিলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে আনন্দধারা। প্রায় ১৫ একর জমিতে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে এই পদ্মবিল। এর মধ্যে বিলের জায়গা মাত্র এক একর। বাকিটুকু ধানী জমি। মুড়ারআব্দাসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন শুকনো মৌসুমে এসব জমিতে বোরো আবাদ করে থাকেন। বর্ষায় পানি আসলে এসব জমিতেই ফুটে পদ্ম। বিলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গোলাপি আর সাদা রং এর পদ্ম দেখলে মন জুড়িয়ে যায় সবার। চোখ যত দূর যায় শুধু পদ্ম আর পদ্ম। পাপড়ি মেলে প্রকৃতিপ্রেমীদের স্বাগত জানায় এ ফুলেরা। এমন অপরূপ দৃশ্য সবাইকে বিলটির প্রতি আকৃষ্ট করছে।
যাবেন কীভাবে –
প্রথমে আপনাকে ঢাকা থেকে বাসে করে যেতে হবে হবিগঞ্জ শহরে । ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাস যায় হবিগঞ্জের দিকে। এর মধ্যে অগ্রদূত, দিগন্ত, বিসমিল্লাহ পরিবহন উল্লেখযোগ্য। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে এক ঘণ্টা পরপর বাস ছেড়ে যায়। ভাড়া এসি ছাড়া ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এসিসহ ৪০০ টাকা। সেখান থেকে বাস অথবা ম্যাক্সি করে বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের মুড়ারআব্দা হাওরে । ভাড়া নেবে বাস ১৮ টাকা ম্যাক্সি নেবে ২২ টাকা সেখানে গেলেই দেখতে পাবেন পদ্ম বিলের। নৌকাভাড়া নেবে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।