আফগানিস্তানের সম্ভাব্য ‘ভয়ংকর পরিস্থিতি’ সামাল দেওয়ার সময় চলে যাচ্ছে : জাতিসংঘ
আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের অন্যতম সূচকগুলোতে ‘নেতিবাচক অথবা স্থবির’ অবস্থা দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটি থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের পর যেসব ঝুঁকির আশঙ্কা করা হচ্ছে তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সাম্প্রতিক এক অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ কথা জানিয়েছেন আফগানিস্তানে জাতিসংঘ সহায়তা মিশনের (ইউএনএএমএ) বিশেষ প্রতিনিধি ও প্রধান ডেবোরাহ লিয়ন্স। ইউএন নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি বাইডেন প্রশাসনের দেওয়া সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার ব্যাখ্যা করেন ডেবোরাহ লিয়ন্স। জাতিসংঘের এই শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, দুই দশক যুদ্ধের পর মার্কিন সেনা প্রত্যাহার দেশটির জন্য ‘ভূমিকম্পের কাঁপুনির’ মতো, যা অপ্রত্যাশিত দ্রুতগতিতে ঘটছে।
ডেবোরাহ লিয়ন্স আরও বলেন, আফগানদের মধ্যে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে সম্পন্ন ফেব্রুয়ারি ২০২০ চুক্তির অংশ হিসেবে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের ডেবোরাহ লিয়ন্স বলেন, কাবুলে সরকারি ও কূটনৈতিক সম্প্রদায় ‘রাজনৈতিক ঐক্যের অভাবে শঙ্কায় রয়েছে’। এ বিষয়টি অবশ্যই সমাধান করতে হবে নতুবা তা তালেবানের আরও অগ্রগামী হয়ে ওঠার মতো ঝুঁকির সৃষ্টি করবে।
তীব্র সামরিক অভিযানের মধ্যে তালেবান মে মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানের ৩৭০টি জেলার মধ্যে ৫০টিরও বেশি দখল করেছে। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ডেবোরাহ লিয়ন্স এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, ‘দখলে নেওয়া বেশির ভাগ জেলা প্রাদেশিক রাজধানী পরিবেষ্টিত। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে তালেবান নিজেদের অবস্থান জোরদারের চেষ্টা করছে এবং বিদেশি সেনা চলে যাওয়ার পর এসব রাজধানী পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেবে।’
ডেবোরাহ লিয়ন্স আরও বলেন, বাজে পরিস্থিতি বাস্তবায়িত হতে বাধা দেওয়ার জন্য’ খুব কম সময়ই হাতে রয়েছে। তিনি বাস্তবতার দিকে নির্দেশ করে বলেন, ‘আফগানিস্তানে সংহিসতা বৃদ্ধি মানে অন্য অনেক দেশের নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পাওয়া।’