‘ইসলামবিরোধী’ বিয়ে, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
‘বিতর্কিত’ পাকিস্তানি অভিনেত্রী ইরতিজা রুবাব মীরার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ‘বেআইনি ও ইসলামবিরোধী বিয়ে’—এ দুটি অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।
পাকিস্তানসহ বলিউডের বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করা এই অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তার করে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন লাহোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা গেছে, মীরার ‘স্বঘোষিত স্বামী’ আতিকুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত এ আদেশ দেন। আতিকুরের দাবি, মীরা তাঁর বিবাহিত স্ত্রী। ২০১১ সালে তাঁদের বিয়ের পর কোনো প্রকার বিবাহবিচ্ছেদ ছাড়াই নাভিদ পারভেজ নামের আরেকজনকে বিয়ে করেন মীরা, যা বেআইনি এবং ইসলামবিরোধী। আদালতে করা অভিযোগে আতিকুর বলেছেন, মীরা ‘বিরাট পাপ’ করেছেন, তার শাস্তি পেতে হবে ওকে। তিনি আরো বলেন, ‘আইনত মীরা এখনো আমার স্ত্রী। বিবাহবিচ্ছেদ না হলে শরিয়তের আওতায় সে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে না।’
আদালতের বক্তব্য, আতিকুরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লাহোর ক্যান্টনমেন্টের দায়রা বিচারক মীরাকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য বহুবার নির্দেশ দিলেও মীরা আসেননি। শুক্রবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালতে।
এদিকে, মীরা আইনি নোটিশ পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বা আমার আইনজীবী—কেউই নোটিশের ব্যাপারে কিছু জানি না।’
অভিযোগকারী আতিকুরকে চেনেন না দাবি করে মীরা আরো বলেন, ‘লোকটি প্রতারক। পাঁচ বছর ধরে ব্ল্যাকমেইল করে চলেছে। হয়তো প্রচার পাওয়ার জন্য আবার আমার নামে নতুন অভিযোগ দায়ের করেছে।’
‘লাক্স স্টাইল অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ী এ তারকা বিভিন্ন কারণে আগে থেকেই পাকিস্তানে বিতর্কিত। নগ্ন ছবি ফাঁসসহ বিভিন্ন স্ক্যান্ডেলের জেরে এর আগেও বেশ কয়েকবার সমালোচনা হয়েছিল তাঁকে নিয়ে। আর এবার পড়লেন মামলার ফাঁদে। মীরা বলিউডে ‘নজর’, ‘কাসক’ নামে দুটি ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।